
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বাতাসে হিমের পরশ স্পষ্ট। পারদ পতন শুরু হতেই শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা, বিশেষ করে ছোট শিশুদের শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে। শীতকাল এলেই অনেক শিশুর সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। ফলে এই সময় শিশুদের দৈনন্দিন যত্ন, বিশেষ করে স্নান করানো নিয়ে দ্বিধায় থাকেন বহু মা-বাবা।
১। স্নানের সঠিক সময়: খুব ভোরে নয়, আবার বেশি বেলাতেও নয়। সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে স্নান করাতে পারলে ভাল হয়। এখন সকালের দিকে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। তাই ওই সময়ে স্নান না করানোই ভাল। বেলা ১১টার পর রোদ উঠলে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান শিশুকে। যদি কুয়াশা বা খুব মেঘলা দিন হয়, তা হলে উষ্ণ জলে গা স্পঞ্জ করাতে পারেন।
২। নিয়ম মানুন: খুব ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করাবেন না। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করাতে হবে শিশুকে।
স্নানের পরেই তোয়ালে দিয়ে মুড়ে দিন শিশুকে। ঠান্ডা হাওয়া যেন না লাগে গায়ে। ভাল করে মুছিয়ে পোশাক পরাতে হবে।
শীতে স্নানের সময় পাঁচ থেকে সাত মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়। এর চেয়ে বেশি জলে রাখবেন না শিশুকে।
স্নানের সময়ে গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। রোজ শ্যাম্পু করানোর প্রয়োজন নেই।
স্নানের পরে গরম পোশাক, মোজা, টুপি পরিয়ে দিন শিশুকে। কিছু ক্ষণ রোদে রাখতে পারলে ভাল হয়।
শিশু নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাল কোনও অসুখ নিয়ে জন্মালে বা সময়ের আগেই জন্ম নিলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। ত্বকের যত্ন: স্নানের আগে ও পরে ত্বকের যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। স্নানের আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মালিশ করতে পারেন। স্নানের পরে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখাতেই হবে শিশুকে।
শীতের সময়ে ত্বক বাঁচাতে স্নানের পর অ্যালো ভেরা, দুধ ও মধু মিশিয়ে মাখাতে পারেন। এটিও ময়েশ্চারাইজ়ারের মতোই কাজ করবে। তবে আগে দেখে নেবেন, অ্যালো ভেরায় শিশুর অ্যালার্জি হচ্ছে কি না।
ছোটদেরও সানস্ক্রিন মাখানো জরুরি। ছোটরা বাইরে বেশি ক্ষণ খেলাধুলো করলে সান ট্যান, সান বার্ন, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা যায়। বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন তাই আবশ্যিক। ছোটদের ক্ষেত্রে এসপিএফ ২০ বা ৩০ হলেই যথেষ্ট।
