
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ‘ডিপ ফ্রিজ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অর্জুন দত্ত। ব্যক্তিগত দুঃখ-যন্ত্রণা পাশে সরিয়ে রেখে মনোযোগ দিচ্ছেন প্রচারের কাজে। তবু হঠাৎ করেই কেন তিনি জানালেন ছবি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত? কী এমন ঘটল তাঁর সঙ্গে? আগামী ২১ নভেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘ডিপ ফ্রিজ’। বিবাহ বিচ্ছেদের পর একটি দম্পতির পরবর্তী সময় কতটা কঠিন হতে পারে সেই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবিটি। কিন্তু ছবির প্রচারে বেরিয়ে কেন উষ্মা প্রকাশ করলেন পরিচালক?
ছবির প্রচারের মাঝেই একটি পোস্ট করে অর্জুন লেখেন, ‘আজ পর্যন্ত কখনো সোশ্যাল মিডিয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কোনও নালিশ জানানোর প্রয়োজন বোধ করিনি আমি। তবে আজ এমন একটা ঘটনা ঘটলো যার ফলে আমি লিখতে বাধ্য হলাম। অনেকেই জানেন আমার পরিচালিত ছবি ডিপ ফ্রিজ আগামীকাল থেকে সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে। নিজেদের সাধ্যমত আমরা প্রমোশন এবং শো টাইম নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।’ অর্জুন আরও লেখেন, ‘সবকিছুর মধ্যে একটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি জাতীয় পুরস্কারের মত একটা ভ্যালিডেশন থাকার পরেও নন্দন ১ - এ সুযোগ্য শো টাইম পেল না এই ছবি। সূত্র মারফত খবর ছিল সুনিশ্চিত প্রাইম টাইম পাবে ডিপ ফ্রিজ। তবে আজ আমাদের ছবিকে দুপুর একটার শো টাইম দেওয়া হয়েছে।’ ক্ষুব্ধ পরিচালক লেখেন, ‘এই পর্যন্ত পাঁচটি ছবি পরিচালনা করেছি আমি। নিজের মতো করেই করেছি। ভালো ছবি তৈরির তাগিদ ছাড়া আমার মধ্যে আর কিছু ছিল না। তবে আজ এমন ঘটনা কিসের প্রভাবে ঘটলো আমি জানতে চাই। এরপর কি আমি ছবি তৈরি বন্ধ করে দেব?’
নন্দনে টাইম শো না পাওয়া নিয়ে পরিচালক লেখেন, ‘আমি সত্যি বুঝতে পারছি না আদৌ দুপুরে একটাই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে আমাদের ছবি নন্দনে কে দেখতে আসবে? আপনি যদি না দেখেন তখন কি বলবেন না অর্জুন দত্তের ছবি চলে না? অতএব ছবিটা উঠিয়ে নেওয়া হোক।’ নন্দন প্রসঙ্গে পরিচালক লেখেন, ‘আপনি হয়তো বলবেন নন্দন নিয়ে মাথা ব্যথা করার কি আছে। যারা এই ধরনের প্রশ্ন করবেন বলে ভাবছেন তাদের বলি আমাদের মত পরিচালকের কাছে নন্দন সত্যি মহার্ঘ্য। বাংলা ছবির মূল্যবোধ বিষয়ে ভেবে যে বাঙালির বাংলা ছবি দেখেন তারা যে অধিকাংশই নন্দনের দর্শক তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এই ঘটনার প্রতিবাদ করবো আমি। প্রয়োজনে মাটি কামড়ে লড়াই করে যাব।’ নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক লেখেন, ‘আমার মা চলে গিয়েছে যখন ছবিটা তৈরি হয়। আমার দাদাও এক সপ্তাহ পার হয়নি মারা গিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও নির্লজ্জের মত ছবির প্রচার করে যাচ্ছি। কারণ আমাদের মত পরিচালকের হাতে আর কোনো অস্ত্র নেই। হয়তো কেউ ভাববেন আমি সিমপ্যাথি কুড়াচ্ছি কিন্তু সত্যি আমার কোনও হাত নেই আপনার ভাবনার ওপরে। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন।’
