
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে এখন ধীরে ধীরে টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের ছোঁয়া। তবে এই মৌসুম বদলের সময়েই সবচেয়ে বেশি বাড়ে সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জির সমস্যা। শীতকালে নানা ধরনের ভাইরাস খুব সহজেই শরীরে প্রবেশ করে, ফলে অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগ একসঙ্গে দেখা দেয় অনেক সময়। এ সময় বাতাসে ধুলো ও জীবাণুর পরিমাণও বেড়ে যায়, যা শরীরে প্রবেশ করে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটায়। তবে কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি শীতকালীন অ্যালার্জিতে ভুগছেন? ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে জল পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালাভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর বা ত্বকে সংক্রমণ—এসবই হতে পারে শীতকালীন অ্যালার্জির ইঙ্গিত। তাই এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই ঠেকানো যায় মৌসুমজনিত অ্যালার্জি।
১) আলমারি থেকে উলের চাদর, সোয়েটার বার করে ব্যবহারের আগে রোদে রাখা জরুরি। অ্যালার্জির সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
২) বাড়ির ভিতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ ঢুকতে দিন। রোদ না ঢুকলে সমস্যায় পড়তে পারেন অ্যালার্জির রোগীরা। বাড়িতে রাখা কার্পেট, পোষ্যর লোম থেকেও হতে পারে অ্যালার্জি। তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে পোষ্যদের কাছে বুঝেশুনে যেতে হবে।
৩) বাড়িতে যেন কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড়ের উপদ্রব না বাড়ে, সে দিকে লক্ষ রাখুন। রান্নাঘর এবং শৌচালয়ের পাইপে ছিদ্র থাকলে তা মেরামত করুন। পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়লে ঘর সাফ করার ব্যবস্থা করুন।
৪) ঘরের প্রতিটি কোণ খুব ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন, যাতে ধুলোবালি না জমে। ধুলোতে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। তাই ধুলোবালি থেকে সাবধান। নিয়মিত বালিশের কভার, বিছানার চাদর বদলান।
৫) রাস্তায় বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করুন। অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে মাস্ক।
