
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি তাঁর নাকতলার বাসভবনে ফিরে আসেন।জেলবন্দী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন বলে জানা গেছে। সেই চিঠিতে প্রাক্তন মন্ত্রী দল থেকে তাঁকে কেন সাসপেন্ড (Suspended) করা হয়েছে, সে বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন। দলীয় এই পদক্ষেপের কারণ নিয়েই তাঁর মনে প্রশ্ন ছিল বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে কখনও জেল, কখনও হাসপাতাল—এই যাপনেই কেটেছে তাঁর প্রায় সাড়ে তিন বছরের বন্দিজীবন। গ্রেফতারের কিছুদিন পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করার ঘোষণা করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে সূত্রের দাবি, জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে। চিঠিতে নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন — “দলের কোন ধারা বা সংবিধান মেনে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে?”
তিনি আরও লিখেছিলেন, “অনেক সময় দেখা যায় দলের কিছু অভিযুক্ত নেতাদের পাশে দল থেকেছে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে কেন ব্যতিক্রম ঘটল?” — এমনই অভিমান ঝরেছে তাঁর চিঠিতে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই চিঠির সত্যতা এখনও স্বীকার করা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও মুক্তির পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু বলতে চাননি।যদিও রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে — জেলে লেখা এই চিঠি যদি সত্যি হয়, তবে কি তা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্বের প্রতিফলন?
তবে আপাতত তিনি বাড়ি ফিরে বিশ্রামে আছেন বলেই পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের কিছু মানুষজনের ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকে স্লোগানও তোলেন, 'বেহালা পশ্চিমে আবারও পার্থদাকে চাই'।
