গুয়াহাটি : রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে রেলের জন্য ২০২৫-২৬ বাজেটে বরাদ্দকৃত তহবিলের বিষয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিডিয়া কর্মীদের সাথে একটি মতবিনিময় করেন। এই উপলক্ষে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (নির্মাণ)-এর জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অরুণ কুমার চৌধুরী, এবং হেড কোয়ার্টারের বরিষ্ঠ রেলওয়ে আধিকারিকরা উপস্থিত থাকেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে পরপর দ্বিতীয়বার, ভারতীয় রেলের জন্য বাজেটে মোট ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকারও অধিক বরাদ্দ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ভারতীয় রেল সারা দেশে দ্রুত, সুরক্ষিত এবং আরামদায়ক রেল ভ্রমণ সম্প্রসারণের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আগামী বছরগুলিতে ২০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন, ১০০টি অমৃত ভারত ট্রেন এবং ৫০টি নমো ভারত রেপিড রেল চালু করা হবে৷ নতুন ট্রেন এবং আধুনিক কোচ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনসাধারণকে অনেক লাভবান করবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে ১০০০ নতুন ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসও নির্মাণ করা হবে।
মত বিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বর্তমানের সমস্ত প্রকল্পের ভৌতিক অগ্রগতি ভাল গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভৌগোলিকভাবে কঠিন ভূখণ্ডে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও, প্রকল্পগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ২৪x7 ঘন্টা ভিত্তিতে কাজগুলি করা হচ্ছে। অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে, ২০১৪ সাল থেকে ১৮২৪ কিলোমিটার নতুন ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়েছে, যা শ্রীলঙ্কার সমগ্র রেল নেটওয়ার্ক থেকে অধিক। ২০১৪ সাল থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ৪৭৮টি নতুন ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে কবচ বাস্তবায়নের জন্য মোট ১১৮৯টি রুট কিলোমিটার চিহ্নিত করা হয়েছে।
দুইজন জেনারেল ম্যানেজার-এ মিডিয়াকে সম্বোধন করার সময় জনান যে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ৯২টি স্টেশন রূপান্তরিত হবে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনের সমস্ত ট্র্যাকের বিদ্যুতায়নের কাজ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে সম্পন্ন হবে৷ জেনারেল ম্যানেজাররা বলেন যে মিজোরামের ভৈরবী - সাইরাং প্রকল্পটিও এই বছরের জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও, অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬-এর জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ হল ১০,৪৪০ কোটি টাকা। এটি ২০০৯-১৪ এর সময়কালের ২,১২২ কোটি টাকার গড় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় ৫ গুণ অধিক। এই বছরের বাজেট বরাদ্দে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন নতুন লাইন এবং ডাবলিং প্রকল্প, ট্র্যাক পুনর্নবীকরণ কাজ, যাতায়ত সুবিধা, সড়ক সুরক্ষার কাজ, সেতু নির্মাণ কাজ, সিগন্যালিং, ওয়ার্কশপ আধুনিকীকরণ এবং গ্রাহক সুবিধা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিভাগে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে।