দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: উপাসনাস্থল আইন হলো প্রাচীনতম আইনের মধ্যে একটি। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের সঙ্গে এই আইন ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ১৯৯১ সালের এই উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, নতুন কোনও বক্তব্য ছাড়া এই মামলায় আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৪ সালে প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হয় মামলার শুনানির জন্য। বেঞ্চের অপর দু’জন হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।
জ্ঞানবাপী, শাহি ইদগাহ-সহ একাধিক মসজিদে আদালতের নির্দেশে চলছে সমীক্ষা। গত মাসে সম্ভলের একটি মসজিদে সমীক্ষা চলাকালীন ধুন্ধুমার বেধে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলের আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি চলবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি কুমারের বেঞ্চ জানায়, এই মামলায় নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “আমরা আজ উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলাটি শুনছি না। এটি তিন বিচারপতির বেঞ্চের মামলা। প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এটি মার্চ মাসে কোনও সময়ে শুনানির জন্য রাখা হোক। মামলায় নতুন আবেদনের তো একটা সীমা থাকে!” সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনুসারে, বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে। কোথাও এ বার থামা প্রয়োজন।
‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ জানিয়েছে, কংগ্রেস, সিপিআই (এমএল)-এর মতো দলগুলি আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও এই মামলায় একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁরা আইনের গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে। গতবারে প্রচুর সংখ্যায় আবেদন গৃহীত হলেও এবারে শীর্ষ আদালত ভিন্ন মত প্রয়োগ করেছে। শীর্ষ আদালতের বক্ত্যবে উঠে এসেছে, নতুন কোনও তথ্য না-থাকলে সেই আবেদন গৃহীত হবেনা। জমা পড়া সবকটি আবেদন ইতিমধ্যে আদালতের তরফ থেকে বাতিল ঘোষণা হয়েছে, পাশাপাশি ওই আবেদনকারীদের নতুন কোনও বক্তব্য থাকলে তাঁকে পুনরায় আবেদন জানাতে বলা হয়েছে।