দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আমাদের জ্বর,সর্দি হলে কেমন যেন খাবার খাওয়ার ইচ্ছাটা চলে যায় আর সেসব অসুখ সারাতে একগাদা তেঁতো ওষুধ খেতে হয় তাই রোগ সারলেও স্বাদটা ঠিক ফিরে আসেনা। বাইরের মুখরোচক খাবার খাওয়ারও বারণ এই সময় কারণ বড়োরা বলেন যে শরীরে জোর আনার জন্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। তবে,রুচি ফেরাতে সুস্বাদু কিছু রাঁধা দরকার। তাই ৫ খাবারে তুষ্ট হতে পারে জিভ সঙ্গে ভালো থাকবে শরীরও।
সেগুলোর বিস্তারিত প্রণালী রইলো নীচে:
a) সুইট কর্ন চাট - প্রোটিনে,ভিটামিনে ভরা এই সুইট কর্ন কারণ এতে আছে ভিটামিন সি, এ আর বি। সুইট কর্নটা সেদ্ধ করে সাথে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে একটু বিট লবণ, কুঁচানো পেঁয়াজ,কাঁচালঙ্কা মাখিয়ে চাট বানিয়ে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন সামান্য চাট মশলা। টক- মিষ্টি-নোনতার এ খাবার মুখে ভালো লাগবে বেশ। স্বাদ ফেরাতে, কাঁচালঙ্কা আর লেবুর রসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
b) আমসত্ত্ব - আমসত্ত্ব খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুরহ। বাজারে আমসত্ত্ব তো রয়েছেই, চাইলে বাড়িতেও সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। পাকা আমের শাঁস বের করে কড়াইতে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। দিতে হবে স্বাদমতো চিনি। আম কত টক কিংবা মিষ্টি তার উপর নির্ভর করবে যে কত চামচ চিনি লাগবে। স্বাদের জন্য একটু নুনও ফেলে দিতে পারেন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে একটি থালায় তেল মাখিয়ে সেখানে ঢেলে দিলেন। কড়া রোদে দুদিন শুকিয়ে নিলে তৈরি হবে আমসত্ত্ব। কোনো কিছু খেতে না ভাল লাগলেও আমসত্ত্বে অরুচি হওয়ার কথা নয়।
c) ভাজা বাদাম - ঘি দিয়ে ভাজা বাদাম মুখের রুচি ফেরাতে পারে। অসুখ থেকে উঠলে শরীর খুব দুর্বল থাকে তাই ভিটামিন,মিনারেলের প্রয়োজন হয়। সেজন্য আখরোট, পেস্তা, কাঠবাদামে শুধু ‘হেলদি ফ্যাট থাকে না, ফাইবার, ভিটামিন ও নানা ধরনের মিনারেলসও থাকে। বাদামগুলিকে ঘি কিংবা মাখনের দ্বারা হালকা ভেজে উপর থেকে নুন ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিলে ভালো লাগবে খেতে।
d) আলু মরিচ - আলুর গুণ বিশাল। কার্বোহাইড্রেটে ভরা আলুতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জ়িঙ্ক, পটাশিয়াম। আলুটাকে ভালো করে সেদ্ধ করে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিন। এক পাত্রে মাখন দিয়ে আলুটাকে হালকা ভেজে উপর থেকে গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন। অরুচির মুখে এই ধরনের খাবার বেশ সুস্বাদু লাগে।
e) পলতা পাতার বড়া - জ্বর-সর্দি থেকে স্বাদ ফেরাতে তেঁতো খাবারও অনেক সময় জাদুর ন্যায় কাজ করে। পলতা পাতার অনেক গুণ কারণ এটায় আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। পলতা পাতা ভালো করে ধুয়ে কুচিয়ে মটর ডাল বাটা,কালো জিরে,সবুজ লঙ্কা আর বেসন মিশিয়ে বড়া বানিয়ে নিন। যদিও তেল দিয়ে ভাজলে পলতার ঠিক গুণ থাকে না তবে বেরুচি পাল্টানোর জন্য, এক-আধটা বড়া খাওয়া যেতেই পারে।