আগরতলা : কংগ্রেসের জন্য ভোট ভিক্ষা চাইছেন মানিক সরকার৷ এটাই কি তার আদর্শ? এভাবেই মানিক সরকারকে সাংবাদিক সম্মেলনে তোপ দাগেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য৷ রাজীব ভট্টাচার্য আরও বলেন, কংগ্রেস ও সিপিএম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই৷ এই দুই দল ত্রিপুরায় অশুভ আঁতাত করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে৷ মানুষ ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের মতো ২০২৪ সালের তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করবে এই অশুভ জোটকে৷
রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, মানিক সরকার নাকি সৎ ও নিষ্ঠাবান৷ আদর্শ রাজনৈতিক নেতা৷ দেশে এমনই পরিচিতি রয়েছে তাঁর৷ অথচ তিনি আবার কংগ্রেসের জন্য জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইছেন৷ কোথায় গেল মানিক সরকারের আদর্শ? তাঁর মুখে আদর্শের কথা শোভা পায় না৷ ২৫ বছরের রাজত্বে এই রাজ্যে বহু কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন৷ আজ তাদের পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় হয়েছে যে একে অপরকে গলাগলি করতে বাধ্য হচ্ছে৷ বিগত বছরে কংগ্রেস এবং সিপিএমের জমানায় খুন, গণহত্যা, গণধর্ষণের ইতিহাস তুলে ধরে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি এই দুটি দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন৷
রাজীব বলেন, কংগ্রেস এবং সিপিএমের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই৷ জনগণ আগেই তাদের মন থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে৷ যখনই কংগ্রেস সিপিএম হাতে হাত ধরে প্রচারে নামছে তখনই জনগণের কালো দিনগুলির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে৷ তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে জনগণ সিপিএম এবং কংগ্রেসের তথা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে রায় দেবে না৷ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের ধারা বইছে৷ অষ্টলক্ষ্মীর মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে উন্নয়নেরশিখরে নিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ পূর্বোত্তরের জনগণ তা প্রত্যক্ষ করছেন৷ তাই এবারও পূর্বোত্তরের সব আসনে পদ্মফুল ফুটবে৷
বিজেপি প্রদেশ সভাপতি আরও বলেন, ত্রিপুরার দুটি আসনে দলীয় প্রার্থীরা বিপুল ভোটে য়ী হবেন৷ এক সময় এই রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি কায়েম হয়েছিল৷ কিন্তু, বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রগতি ও বিকাশের ধারা বইছে৷ যারা এখনও বিরাধী শিবিরে রয়েছে তাদেরও সেই ধারায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান রাজীব ভট্টাচার্য৷ ভোট প্রচারের নামে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বরা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে৷ এর জবাব এবার লোকসভা নির্বাচনে দেখা যাবে বলে মনে করেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি৷
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সহ সভাপতি তথা লোকসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ অশোক সিনহা, মন্ত্রিসভার সদস্য প্রণজিৎ সিংহরায়, প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ৷