কমলপুর , ১২ নভেম্বর : ধলাই জেলার অন্তৰ্গত কমলপুর মহকুমার বড়লুতমা এলাকায় সূচনা হয়েছে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সমাজ তথা ত্রিপুরা এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বৃহৎ মহারাসযাত্রা উৎসব ও মেলার।
সোমবার সন্ধ্যায় করেন বিমল সিনহা স্মৃতি মুক্তমঞ্চে ১২৮-তম মহারাসযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী সুধাংশু দাস। ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সামাজিক নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনের রাসোৎসব চলবে।
মহারাস লীলামেলার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন কমলপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন প্রশান্ত সিনহা। অনুষ্ঠানে অন্য বহুজনের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক মনোজকান্তি দেব, ধলাই জেলা পরিষদের সভানেত্রী সুস্মিতা দাস, সালেমা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিনা বিশ্বাস, দুর্গা চৌমুহনি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ভানু প্রতাপ লোধি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের অধিকারিকবৃন্দ।
উদ্বোধকের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মহারাস লীলা উৎসবের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, উৎসব ও মেলা পরম্পরাগত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। এই উদযাপন ঐক্য ও সংহতিকে দৃঢ় করে। আর বড় লুতমা এলাকার এই উৎসব ১২৮ বছরে পা দিয়েছে। এটি এক বিশাল অর্জন এবং প্রাপ্তি। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই উৎসবের সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং সাধারণ মানুষের উৎসাহ ও অংশগ্রহণ সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেন বিধায়ক মনোজকান্তি দেব।
প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে উৎসব স্মরণিকা ‘বংশীধ্বনি’র আবরণ উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রদর্শনী স্টলের উদ্বোধন হয় এদিন রাতে। পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পাঁচদিন ব্যাপী মহারাসলীলা উৎসবের শেষ দিনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব। আজ মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং রক্তদান শিবির। বাৎসরিক এই উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।