দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নিশুতি রাতে ঘুমোতে যান অনেকেই। ফলে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি হয়ে যায়। অফিস পৌঁছনোর তাড়াহুড়োয়, অন্য কোনও দিকে না তাকিয়ে সোজা স্নানের ঘরে ঢুকতে হয়। ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজতে মাজতেই ভেবে নিতে হয়, অফিসে পরে যাওয়ার জন্য আলমারি থেকে কোন পোশাকটি বার করবেন। তার পর শুরু হয় স্নানপর্ব।
এটাই অনেকের রোজের অভ্যাস। কিন্তু স্নানের ঘরে গিয়ে দাঁত মাজার এই অভ্যাস যে নিঃশব্দে শরীরের ক্ষতি করে চলেছে, তা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে শৌচালয়ে ব্রাশ রাখার অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এতে কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বেশ কিছু গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। কিন্তু এই অভ্যাস খারাপ কেন?
শৌচালয় হল জীবাণুর আতুঁড়ঘর। ওখানে বাতাসে ভেসে বেড়ায় ব্যাক্টেরিয়া, জীবাণু। ওই পরিবেশে খোলা অবস্থায় ব্রাশ রেখে দেওয়া কতটা বিপজ্জনক, সেটা খানিকটা হলেও অনুমান করা যায়। আর্দ্র পরিবেশে ব্যাক্টেরিয়া সহজেই বেড়ে ওঠে। শৌচালয়ের ভিতরের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যধিক বেশি। ফলে ব্যাক্টেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ছাড়াও মল-মূত্র ত্যাগের পর যতই ফ্লাশ করা হোক, কমোডের জলের স্রোত ব্যাক্টেরিয়া নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। সেগুলি থেকেই যায়।
এমন ভাইরাসময় পরিবেশে ব্রাশ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই সেটিও জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পায় না। ব্রাশ থেকে সেই সমস্ত জীবাণু সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মুখের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেই সঙ্গে আরও অনেক ভোগান্তি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই শৌচালয়ে ব্রাশ রাখার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে যে কোনও দিন কঠিন অসুখে পড়ার আশঙ্কা সত্যি হয়ে যেতে পারে।
শৌচালয়ে ব্রাশ রাখবেন না মানেই যত্রতত্র ফেলে রাখবেন, সেটাও কিন্তু নয়। ব্রাশ যেখান-সেখানে রাখার জিনিস হয়। যে হেতু সরাসরি শরীরের সংস্পর্শে আসে, তাই ব্রাশ যত্নে রাখা জরুরি। ব্রাশ কোথায় রাখা সুরক্ষিত?
পরিষ্কার, শুকনো কোনও স্থানে ব্রাশ রাখতে হবে। ব্রাশ উন্মুক্ত জায়গায় না রাখাই ভাল। কোনও আলমারি অথবা ড্রয়ারে রাখতে পারেন। এ ছাড়াও ব্রাশ রাখার শৌখিন বাক্স পাওয়া যায়। চাইলে সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে কোনও ভাবেই ব্রাশ বাইরের খোলা হাওয়ায় ফেলে রাখা যাবে না। তা হলেই বিপদ।