দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ত্বকের যত্নের জন্য অনেকে রাসায়নিক প্রসাধনী নয়, ঘরোয়া টোটকার উপরেই ভরসা করেন। কিন্তু মাসে একবার বিউটি পার্লারে যেতেই হয় যার মূল কারণ, ব্ল্যাকহেড্স। দিনের পর দিন ত্বকের ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্যে তেল,ময়লা জমলে, নিয়মিত মৃত স্কিন সেল না সরালে গোটা মুখে ব্ল্যাকহেড্স দেখা দেয়। এছাড়াও যাঁদের ত্বক একটূ তেলতেলে, তাঁদের মুখেও এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। পেশাদার কর্মীদের মতো ‘পুশার’নামক যন্ত্র দিয়ে ব্ল্যাকহেড্স বাড়িতে নিজের হাতে বার করতে পারেন না বহুজনে। পার্লারে গিয়ে মুখ থেকে ব্ল্যাকহেড্স তুলতে চোখের জলে নাকের জলে হতে হয় ঠিকই তবে, নাকের পাশ থেকে কালো দানার মতো এই বস্তুটি সরে গেলে মুখটা একেবারে স্বচ্ছ কাচের মতো ঝকঝকে হয়ে ওঠে।
আজকাল, রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় করা ‘নোজ় স্ট্রিপ’ ব্যবহারের চল হয়েছে। আঠালো কাগজের মতো জিনিসটা নাকের উপর চাপিয়ে বসিয়ে রাখতে হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর টেনে তুললে কাগজের গায়ে ব্ল্যাকহেডস্ উঠে আসে, কিন্তু চামড়ায় চেপে বসে থাকা কাগজ টেনে তুলতে গেলেও কষ্ট হয়।তবে এত কষ্ট সহ্য না করে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়েও কিন্তু ব্ল্যাকহেড্স তুলে ফেলা যায়:
a) বেকিং সোডা: এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে দুই চামচ জল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তারপর সেটা নাকের উপর লাগিয়ে রাখুন প্রায় ১৫-২০ মিনিট আর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবেই ‘ব্ল্যাকহেডস’পরিষ্কার হয়ে যাবে।
b) গ্রিন টি: বেকিং সোডার মতোই এক চামচ গ্রিন টি-তে দু চামচ জল দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন আর মিশ্রণটি প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য ‘ব্ল্যাকহেডস’-এর জায়গায় লাগিয়ে রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন।
c) ডিম-মধু: ত্বকের বহু সমস্যার সমাধান করে এই মিশ্রণটি । একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে দু চামচ মধু মিশিয়ে নিন মুখে মাখিয়ে রাখুন। মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা থেকে শুধু ‘ব্ল্যাকহেডস’থেকেই মুক্তি পাবেন না,ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
d) টম্যাটো: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টম্যাটোর নরম শাঁসটা গোটা মুখে মাখিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। তারপরই দেখবেন, ‘ব্ল্যাকহেডস’ও গিয়েছে, ত্বকও উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে।