দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জীবন আমাদের মর্জিমাফিক চলে না। সে তার নিজের নিয়মেই আবহমান। তাই তো অনেক সময় বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সুন্দরী নারীর মন পেলেও, তাঁর পিতার কাছে চক্ষুশূল হয়েই রয়ে যেতে হয়। আর প্রেমের নদীতে নৌকা বয়ে চলার সময় প্রেমিকার বাবার এমন জলদস্যুসুলভ আচরণের সামনে পড়ে ভয়ে কাচুমাচু হয়ে যান অধিকাংশ যুবকেরা। আর প্রেমিকের এহেন মুখচোরা, ভিতু আচরণ দেখেই মহিলারা রাগে, ঘৃণায় তাঁদের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেন।
তাই পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার আগেই আপনাকে প্রেমিকার বাবার মনে জায়গা করে নেওয়ার কাজে লেগে পড়তে হবে। তাহলেই এই সম্পর্ককে পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারবেন।
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কী ভাবে এই কাজে আসবে সাফল্য? সেই বিষয়ে বিশদে জানতে চাইলে ঝটপট এই নিবন্ধে চোখ রাখুন।
১) কথা বললেই কেল্লাফতে
দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ শুধুমাত্র কথা বলেই বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই প্রেমিকার বাবার মনে জায়গা করে নিতে চাইলে সবার প্রথমে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাঁকে নিজের মনের কথা খুলে বলুন। এমনকী আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কেও তাঁকে জানাতে হবে। আশা করছি, আপনি ঠিকমতো হোমওয়ার্ক করে এইসব বিষয়গুলি তাঁর সামনে তুলে ধরতে পারলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনাকে কাছে টেনে নেবেন।
২) সম্মান দিলেই মিলবে সমস্যার সমাধান
অনেক সময়ই মেয়ের বাবাদের মাথার ঠিক থাকে না। তাই তাঁরা মেয়েকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে মেয়ের বয়ফ্রেন্ডকে যা নয় তাই বলে কথা শুনিয়ে দেন। তবে এই পরিস্থিতির মুখে পড়লেও কিন্তু মুখ তুলে দু-কথা শুনিয়ে দেওয়ার ভুল করবেন না। এই ভুলটা করলে শুধু প্রেমিকার বাবা নন, পাশাপাশি তাঁর মেয়েও আপনার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেবেন। তাই সব পরিস্থিতিতেই মাথা ঠান্ডা রেখে প্রেমিকার বাবাকে সম্মান দিন।
৩) মিথ্যে বলবেন না
প্রেমিকার বাবার মন পেতে আবার তাঁকে নিজের বা পরিবারের সম্পর্কে কিছু বাড়িয়ে-চড়িয়ে বলবেন না যেন! কারণ একবার যদি আপনার মিথ্যে ধরা পড়ে যায়, তাহলে কিন্তু এত কষ্টের সবটাই বৃথা চলে যাবে। তাই প্রেমিকার বাবার সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তাঁকে সব সত্যি কথা বলুন। এই কাজটা করলেই আপনার প্রতি তাঁর ভরসা বাড়বে। এমনকী তিনি আপনাকে ভবিষ্যতে কাছে ডেকে নিতেও পারেন।
৪) সব প্রশ্নের জবাব দিলেই কেল্লাফতে
তিনি মেয়ের বাবা। তাই আপনার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আগে তাঁর হাজার প্রশ্ন থাকবেই। আর এইসব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে সৎভাবেই দিতে হবে। এমনকী তিনি কিছু পরামর্শ দিলে বা কিছু ভুল শুধরে নিতে বললেও আর দেরি না করে এইসব কাজ সেরে নিন। হলফ করে বলতে পারি, এই কাজে সাফল্য পেলেই ধীরে ধীরে তিনি আপনাকে আপন করে নেবেন। তারপর আর আপনাদের প্রেমের মাঝে কোনও বাধা থাকবে না।