দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পৌষের শেষ দিন থেকে আবার ঝোড়ো ব্যাটিং করছে শীত। আর এই মরসুমে পা ফাটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। জনের মধ্যে ৩ জন এই ঋতুতে গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভোগেন। শুষ্ক আবহাওয়ায় একটু বিশেষ যত্ন নিতে হয় পায়ের। এই ঋতুতে মোজা পরা জরুরি। তার সঙ্গে আর কী-কী বিষয় মেনে চলবেন, রইল টিপস।
১) পায়ের যত্নেও হাইড্রেশন জরুরি। শরীর যদি হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে একাধিক ত্বকের সমস্যা এড়াতে পারবেন। পায়ের শুষ্কভাব এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। পাশাপাশি নিয়মিত ফুট ক্রিম ব্যবহার করুন।
২) পায়ের কোমলতা বজায় রাখার জন্য এক্সফোলিয়েশন জরুরি। হালকা ফুট স্ক্রাব দিয়ে পা এক্সফোলিয়েট করে নিন। এতে পায়ের পাতায় জমে থাকা মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। এতে ত্বক আরও ভাল করে ময়েশ্চারাইজ শোষণ করবে।
৩) এই সময় পা ময়েশ্চারাইজ করা ভীষণ জরুরি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। শুধু কেনার সময় যাচাই করে নিন, এতে গ্লিসারিন, শিয়া বাটা বা নারকেল তেল রয়েছে কি না। এই ধরনের উপাদানগুলো ত্বকের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা জোগায়।
৪) রাতে পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে খুব ভাল করে পা পরিষ্কার করে নিন। তারপর পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভারী ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর লেপ বা চাদর দিয়ে পা চাপা দিয়ে দিন। রাতে এই কাজটা সারলে রাতারাতি আপনার পায়ের চামড়া নরম ও কোমল হয়ে উঠবে।
৫) গরম জলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে দিন। পাশাপাশি হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টও মেশাতে পারেন। এবার এই জলে পা ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে এবং পায়ের ত্বক ভাল থাকবে।
৬) পায়ের মালিশ জরুরি। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ম্যাসাজ অয়েল বা ক্রিম ব্যবহার করে আপনি গোড়ালি, আঙুল ও বাকি পায়ের অংশ মালিশ করতে পারেন।
৭) পায়ের নখ ও কিউটিকলের কথা ভুললে চলবে না। নিয়মিত নখ কাটুন। পাশাপাশি কিউটিকলগুলো ময়েশ্চারাইজ করুন। নখ ও কিউটিকলের যত্ন না নিলে এগুলো শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটা জরুরি।