দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃকলকাতা, বাবুঘাট এলাকায় একাধিক বাস চলাচল করছে কোনওরকম রুটের অনুমতি ছাড়া। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র শোকজ ও ফাইন করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ যার জেরে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য, শুধু শোকজ করলে হবে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন বাতিল করতে হবে লাইসেন্স।
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, "বাসে জিপিএস লাগানোর ব্যাপারে পরিবহন দফতর কী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তা আদালতকে জানাতে হবে।" এরই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "অন্যান্য রাজ্যের লোকাল বাসে পর্যন্ত ফ্যান লাগানো থাকে ৷ আমার রাজ্যে আসুন দেখবেন কী রকম বাস সার্ভিস।বাসের সিট অনেক উন্নত। এইভাবে বেআইনিভাবে বাস চললে তো যেকেউ যেকোনো রাস্তায় দশ-বিশজন করে যাত্রী নিয়ে চলতে থাকবে ৷" অভিযোগ বাবুঘাট বা ধর্মতলায় ঢোকার অনুমতি না থাকলেও বিভিন্ন বাস এই রাস্তায় ঢুকছে। সেখান থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো বাস চালাচ্ছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য পরিবহন দফতরের সচিব ও ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিককে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে 74 জনকে শোকজ করা হয়েছে। "শোকজের পর তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রিপোর্টে উল্লেখ নেই কেন ?" প্রশ্ন করেন খোদ প্রধান বিচারপতি। এর পরই তিনি নির্দেশ দিয়ে জানান, এই সমস্ত বাসকে একবার ফাইন করার পরও তারা বাস চালাচ্ছে কি না তা দেখতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহন দফতরকে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এদের মধ্যে কাদের কাদের ইন্টার স্টেট অনুমোদন রয়েছে।
পরিবহন দফতরের কাছে বিস্তারিত তথ্যও তলব হাইকোর্টের। কারণ অনেক বাস ধর্মতলা বাবুঘাট থেকে ভিন রাজ্যে যায়। আবেদনকারীর আবেদন ছিল, কত বাস বেআইনিভাবে চলছে তা চিহ্নিত করা হোক। বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হোক আদালতে। রাজ্যের আইনজীবী অমল সেনের বক্তব্য, বেআইনি বাস মালিকদের শোকজ করা হচ্ছে। এই রকম মোট 74 জনকে শোকজ করা হয়েছে।