কলকাতা, ১৪ জুলাই : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একটি বড় অভিযান চালিয়ে রূপো পাচারের চেষ্টা বানচাল করেছে। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ১৪৩ তম ব্যাটালিয়নের বিথারী সীমান্ত চৌকিতে মোতায়েন জওয়ানরা একটি মোটরসাইকেল থেকে ১৬.৭১ কেজি রূপোর গয়না উদ্ধার করে, যার আনুমানিক মূল্য ১৬.৪৯ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি একজন চোরাকারবারিকে গাড়ি সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
বিএসএফ জানিয়েছে, জনওয়ানরা আগেই একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছিল যে বিথারী এলাকায় রূপো পাচার করা হবে। এই তথ্য পেয়ে, বিথারী সীমান্ত চৌকি এলাকায় সমস্ত টহলরত দলকে সতর্ক করা হয়েছিল। এর পর ১৩ জুলাই, সকাল ১০:৫৫ মিনিটে সন্দেহ হওয়ায় দহরকান্দা গ্রাম থেকে হাকিমপুরের দিকে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেলকে তদন্তের জন্য থামানো হয়। মোটরসাইকেল আরোহীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায়, জওয়ানরা ঘটনাস্থলে একজন মেকানিককে ডেকে গাড়িটি যান্ত্রিকভাবে পরীক্ষা করানো হয়। সেই সময় মোটরসাইকেলের সামনের এবং পিছনের টায়ারের টিউব থেকে ১৪ প্যাকেট রূপোর অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই চোরাকারবারীকে আটক করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাকিমপুর সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, চোরাকারবারী জানায় যে ১৩ জুলাই সকালে বিথারী বাজার এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে সে এই রূপোর প্যাকেটগুলি পেয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল হাকিমপুরের ঘোষপাড়া গ্রামে বসবাসকারী অন্য একজনের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা। এই কাজের জন্য তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।
বিএসএফ বাজেয়াপ্ত রূপো, মোটরসাইকেল এবং ধৃত চোরাকারবারীকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন যে আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে এবং কোনও অবৈধ কার্যকলাপ সফল হতে দেওয়া হবে না।