দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বিভিন্ন খাতে টাকা দিচ্ছে না। বেশ কয়েকমাস ধরেই এই অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে।কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের পর পরই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হল ১০ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই কথা জানিয়েছেন।
এবার অন্তবর্তী বাজেটে জানানো হয়েছিল যে কেন্দ্রের আদায় করা কর থেকে রাজ্যগুলো যে অংশ পাবে তার আনুমানিক পরিমাণ হবে ১২ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা। তারই একটি অংশ জুন মাসে রিলিজ করল নর্থ ব্লক।
কেন্দ্রের সরকার কর বাবদ রাজ্যগুলি থেকেও আদায় করে। অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আদায় করা সেই মোট রাজস্বের ৪১ শতাংশ অর্থ রাজ্যগুলির পাওয়া উচিত। কারণ, রাজ্য থেকেই এই কর আদায় করা হয়েছে। অর্থাৎ এটা কেন্দ্রের কোনও অনুদান নয়। রাজ্যেরই অধিকারের অর্থ।
লোকসভা ভোটের পর মঙ্গলবার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এক লপ্তে কেন্দ্র থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা আসার খবর মন্দ নয়। এখন কৌতূহলের ব্যাপার হল, এই ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার কোন খাতে ব্যবহার করবে?
পূর্বতন যোজনা কমিশন তথা এখনকার নীতি আয়োগের বক্তব্য হল, এই টাকা রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছে মতো মূলধন খাতে বা সামাজিক প্রকল্প খাতে ব্যবহার করতে পারে। সেটা রাজ্যের অগ্রাধিকারের বিষয়। অর্থাৎ এই টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার চাইলে রাস্তা, সেতু বানাতে পারে আবার সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পেও ব্যবহার করতে পারে।
কেন্দ্র এবার যে করের টাকা বরাদ্দ করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। হিন্দিবলয়ের এই রাজ্য সবচেয়ে বড়, জনসংখ্যাও সর্বাধিক। তাই স্বাভাবিক ভাবে কর আদায়ের পরিমাণও বেশি। উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিহার পেয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এনডিএ-র শরিক তেলুগু দেশমের অন্ধ্রপ্রদেশ পেয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।