কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি : ২০২৫ সালে ঘরের মাঠে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজে ভয়াবহ পরাজয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেট ছিল হতাশাগ্রস্ত। বড় বড় নামগুলির উপর নেমে এসেছে অন্ধকার। দীর্ঘ দেড় মাস পর এই বিষন্নতা সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ে রোহিত শর্মারা বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নামছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে ভারত এই টুর্নামেন্টের আগে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। এটি দলকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো সাফল্য পেতে সাহায্য করবে। যে সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নিয়ে চিন্তা ছিল সৌভাগ্যবশত, তাদের বেশিরভাগই রান পেতে শুরু করেছেন। শুভমান গিল সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন, বুধবার আবার আইসিসি রাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে গেছেন। অন্যদিকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে বিরাট কোহলিও অর্ধশতক করেছেন। শ্রেয়স আইয়ার দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এবং কেএল রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজার সাথে মিডল-অর্ডারে নেতৃত্ব দেবেন।
তবে উদ্বেগের বিষয় হল পেস বোলিংএ বুমরাহর অনুপস্থিতি, তিনি পিঠের চোটের কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছেন। মোহাম্মদ শামি অবশ্য ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে এসেছেন কিন্তু '২৩ বিশ্বকাপে তিনি যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তা এখনও ফিরে পাননি।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলা হর্ষিত রানা আর্শদীপ সিংয়ের সঙ্গে শুরু করতে পারবেন কিনা সেটা দেখার। বুমরাহর অনুপস্থিতির জন্য ভারতকে তাঁর স্পিনারদের উপর নির্ভর করতেই হবে এবং সেই সঙ্গে পান্ডিয়ার দিকে চেয়ে থাকতে হবে। অর্থাৎ বুমরাহর অনুপস্থিতিতে এই অলরাউন্ডারের ওপর ভারত অনেক নির্ভর করছে।
এদিকে স্পিনিং বিভাগে অভিজ্ঞ কুলদীপ যাদব এবং স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে কীভাবে ভারত ব্যবহার করবে সেটাই দেখার। দুবাইয়ের পিচটি দলকে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা মনোরম থাকার কারণে শিশিরের ভূমিকা খুব বেশি নাও থাকতে পারে। এই চেয়ে বড় কথা এবার ভারতের ওয়ানডে দলটি সবচেয়ে সুসংগঠিত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০২৩ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর থেকে ভারতের ওয়ানডে দলে খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। ফাইনালে সেই পরাজয়ের যন্ত্রণা আজও অব্যাহত। টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে রোহিতরা সে যন্ত্রণা অবশ্য কিছুটা মিটিয়েছে। তবে রোহিতরা চাইছে আরও একটি আইসিসি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে।