দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি বছর রথযাত্রা পালিত হবে ৭ জুলাই। উল্টো রথ পড়েছে ১৬ জুলাই। আর এই রথযাত্রার দিন মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিশেষ পুজোর আয়োজন করে থাকেন সকলে। রথযাত্রা মানেই বিকেল বেলায় গরম গরম জিলিপি আর কুড়মুড়ে পাঁপড় ভাজা। বাঙালি-ওড়িয়া নির্বিশেষে দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সকল মানুষই এই উৎসবে মেতে ওঠে। এই দুটি খাবারই কিন্তু আমাদের এখানকার নয়। একটি এসেছে আফগানিস্তান থেকে আর অন্য অন্য খাবারটি পঞ্জাবের খাবার। রথযাত্রা উৎসবের দিনে এই দুটি খাবার না হলে মনটা যেন খালি খালি লাগে! কি ঠিক বললাম তো।
পাঁপড় মূলত উত্তর ভারতের একটি বিখ্যাত খাবার বলা চলে। তবে, এই খাবারের নাম কিন্তু রামায়নেও বেশ উল্লেখ রয়েছে। ভরদ্বাজ মুণি রামচন্ত্র ও তার অক্ষৌহিনী সেনার জন্য যে বাঙালি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন সেখানে তিনি তাঁদের পাতে কিন্তু দিয়েছিলেন পাঁপড়।
সংস্কৃত পুঁথিতে কিন্তু জিলিপির কথা কিন্তু বেশ উল্লেখ রয়েছে। এই রসের মিষ্টি খেতে বেশ পছন্দ করতেন মোঘলরা। সরাসরি রথের সঙ্গে এই মিষ্টির কোনও যোগাযোগ নেই। তবে শোনা যায়, স্নান যাত্রায় ১০৮ ঘরা জলে যখন স্নান করে জগন্নাথদেব জ্বর এসেছিল, সেই সময় তিনি সাত দিন ছিলেন নিভৃতবাসে। সেখানে মহাপ্রভুকে পাচন খাইয়ে সুস্থ করা হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচায় গিয়েছিলেন। সেই সময়ই নাকি মুখের স্বাদ বদলাতে তিনি নানা রকম খাবার খেয়েছিলেন। সেখানেই নাকি তাঁকে এই নোনতা খাবারটি দেওয়া হয়েছিল।
যদিও জগন্নাথদেবের ৫৬ ভোগের মধ্যে কোথাও কিন্তু জিলিপি বা পাঁপড়ের দেখা মেলে না। তবে জগন্নাথদেবের রথের মেলায় কিন্তু দিব্যি জিলিপি থেকে পাঁপড় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। রথের দিন বিশেষত বাঙালিরা কিন্তু জিলিপি থেকে পাঁপড় ভাজা খেয়েই থাকেন। রথের মেলা থেকে রাসের মেলাতে সর্বত্রই কিন্তু এই দুটি খাবারের দেখা মেলে।