দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- সামনে আসছে কালীপুজো। আলোর উৎসবে মর্ত্যলোক থেকে দূর হবে অন্ধকার।
হুগলির বাঘটি জয়পুর গ্রামের ডাকাত কালীবাড়িতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জাগ্রত
এই মন্দিরে কালী মায়ের দর্শন পেতে দূর দূরান্ত
থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
কথিত
আছে প্রায় ৫০০ বছর আগে
রঘু ডাকাত নদী থেকে একটি
কালী মূর্তি পান। বর্তমানে যেখানে
মন্দির রয়েছে তখন সেখানে ছিল
শ্মশান। রঘু ডাকাত এই
শ্মশানেই শুরু করেন মায়ের
আরাধনা।
ঘটনা চক্রে এই পুজো রঘু ডাকাতের
পুজো নামে বিখ্যাত হয়।
সিদ্ধেশ্বরী
কালী রূপে এখানে মাকে
পুজো করা হয়ে থাকে ।কথিত রয়েছে রঘু ডাকাত ও
তার সঙ্গীরা মা কালীকে নরবলি
ও পোড়া ল্যাটা মাছের ভোগ নিবেদন করে
বের হতেন ডাকাতি করতে।
ডাকাতির সম্পত্তি বিলিয়ে দিতেন দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে। জানা যায়, পূর্ববঙ্গের
রামশরণ সিমলাই নামের এক ব্যবসায়ী যাত্রা
পথে পুজো দিয়েছিলেন এই
কালী মন্দিরে।
তবে
রঘু ডাকাত তার প্রতি প্রসন্ন
হয়ে আক্রমণ করেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাতৃ
সাধক রামপ্রসাদও একবার রঘু ডাকাতের কবলে
পড়েছিলেন। যখন হাঁড়ি কাঠে
রামপ্রসাদকে বলি দেওয়ার জন্য
চড়ানো হয়, তখন তিনি
মা কালীকে গান শোনানোর আর্জি
জানান। সেই গান শুনতে
শুনতে রঘু ডাকাত হাঁড়িকাঠে
রামপ্রসাদের বদলে দেখতে পান
স্বয়ং মায়ের মুখ।
এই দেখে রঘু ডাকাত ভয় পেয়ে রামপ্রসাদকে অত্যন্ত যত্ন ও খাতির করেন। তারপর নিজের উদ্যোগে রামপ্রসাদকে বাড়ি পৌঁছে দেন। কথিত আছে, তারপর থেকেই এখানে বন্ধ হয়ে যায় নরবলি। তবে নরবলি বন্ধ হলেও এখনো ছাগবলি প্রথা রয়েছে এখানে। এখনো পোড়া ল্যাটা মাছের ভোগ মাকে নিবেদন করার প্রচলন রয়েছে পুজোয় । এছাড়াও খিচুড়ি, পায়েস, পাঁচরকম ভাজা তো রয়েইছে।