
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি তাঁর স্বামী পিটার হগের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র গার্হস্থ্য হিংসার নয়, আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, পিটার হগ তাঁকে ‘অপ্রচলিত যৌনকর্মে’ বাধ্য করতেন। এছাড়াও, তাঁর নগ্ন ছবি তোলা, তাঁকে ভীতি প্রদর্শন (ব্ল্যাকমেইল) করা এবং অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দেওয়ার মতো অভিযোগও তিনি করেছেন।
স্বামীর বিরুদ্ধে সেলিনা জেটলির তোলা এই সমস্ত অভিযোগ মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। সেলিনা বর্তমানে তাঁর বিদেশি স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসা, নিষ্ঠুরতা এবং কারসাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে আসা আদালতের নথিতে সেলিনা পিটারের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন।
সেলিনা ২০১০ সালে অস্ট্রিয়ান উদ্যোক্তা এবং হোটেল ব্যবসায়ী পিটারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন ছেলে রয়েছে - যমজ ছেলে, উইনস্টন এবং ভিরাজ, যারা ২০১২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আর্থার, যার জন্ম হয় ২০১৭ সালে। আরেক ছেলের জন্ম দিয়েছিবেন সেলিনা, যার নাম শামসের, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।সেলিনার দাবি পিটার তাঁকে বাচ্চাদের সামনে নোংরা ভাষায় (WH**E) ডাকেন। সঙ্গে অভিনেত্রীর দাবি, বিয়ের সময় দামি উপহারও দাবি করেন পিটার হাগ।সেলিনার দাবি, তাঁর পরিবার তাঁর স্বামীকে প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি ডিজাইনার কাফলিঙ্ক এবং ১০ লাখ টাকার গয়না দিয়েছিল। এমনকী মধুচন্দ্রিমার সময় তাঁর উপর অত্যাচার করে পিটার। ইতালিতে যখন তাঁরা হানিমুনে যান তখন পিরিয়ডের ব্যথায় ভুগছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন পিটার। সেই সময় পিরিয়ডসের খিচুনি এত মারাত্মক হয় যে, তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল। এমনকী, পিটারকে যখন সেলিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, তখন রাগে উন্মাদ হয়েছিলেন তাঁর সদ্য বিবাহিত স্বামী। রেগে গিয়ে দেওয়ালে আছাড় মেরে ভেঙেছিলেন ওয়াইন গ্লাসও।
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন যৌন অত্যাচার চলত। নিজের বন্ধুদের সঙ্গে বিছানায় যেতে বাধ্য করতেন পিটার। এখানেই শেষ নয়, দিল্লি গনধর্ষণ কাণ্ডের পর, সেলিনাকে হুমকি দিয়েছিলেন যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার।এমনকী পায়ুপথ দিয়ে সেলিনার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে নথিতে। অভিনেত্রীর নগ্ন ছবি তোলা আরেকটি মর্মান্তিক অভিযোগ, এবং পরে সেগুলো নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করাও চলত।
আপাতত আইনি ভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেলিনা। ২০২৫ সালের ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস সি তাডির সামনে আবেদনের শুনানি হয়। পিটারকে নোটিশজারি করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। ক্ষতিপূরণ হিসাবে সেলিনা 50 কোটি টাকা এবং মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে চেয়েছেন।সঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, অস্ট্রিয়া আদালতে পিটার হাগ প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০২৫ সালের অগস্ট মাসে তিনি প্রথম আবেদন করেন। ৪৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী জানান যে, তিনি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন।
