
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বিএলও-দের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর ইস্যুতে দ্বিতীয়বারের মতো বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, বিএলও-দের আবেদনগুলি শুধু ন্যায্যই নয়, বরং সংযতও বটে। প্রশাসনিক প্রধান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এত কিছুর পরেও কেন বিএলও-দের নির্বাচন কমিশনের কলকাতা অফিসে টানা দু'দিন অপেক্ষা করতে হলো। এছাড়াও, বাংলা-সহ দেশের অন্যান্য অংশে যেভাবে বিএলও-রা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ‘নিষ্ঠুর’ বলেও আখ্যা দেন।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রেড রোডে ডাঃ আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই একেবারে সংবিধান হাতে নিয়ে একাধিক ইস্যুতে একযোগে কমিশন এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে একের পর এক বিএলওর মৃত্যু হয়েছে। বিএলওদের দাবিকে আমি ন্যায্য এবং সংযত বলে মনে করি।” এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কলকাতা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিএলওদের ধরনার প্রসঙ্গও তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”দাবি জানাতে বিএলওদের ৪৮ ঘণ্টা বসে থাকতে হল। এতটা অমানবিক।”
শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার ঠাকুরনগর থেকে ফেরার পথে বিক্ষোভ দেখে থমকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার কথাও এদিন তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ”আমি কাল গাড়িতে আসার সময় কিছু লোক কথা বলতে চাইছিলেন। আমি তা শুনলাম। সঙ্গে সঙ্গে যা যা প্রয়োজন সব করে দিলাম।” কিন্তু বিএলওদের কথা শুনতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লেগে গেল? তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন না? প্রশ্ন প্রশাসনিক প্রধানের।
শুধু তাই নয়, দ্রুত এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন ফের প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ”তিন বছর সময় নিয়ে নাও। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তিনবছরের কাজটা দু’মাসে করা হচ্ছে।” অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ”দেশে নিরপেক্ষতা নেই, একপক্ষ চলছে। বাংলা ভারতের অংশ, তা কেন্দ্র ভুলে গিয়েছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। শুধু তাই নয়, বর্তমান এসআইআর পরিস্থিতির কথা তুলে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “স্বাধীনতার এত বছর পর নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। এতে আমরা স্তম্ভিত, দুঃখিত, মর্মাহত এবং শোকাহত।” দেশে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
