দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষার একনাগাড়ে বৃষ্টি কখনও বা ভ্যাপসা গরম—এই ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ায় বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাল জ্বরে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, কাশির সঙ্গে যোগ হচ্ছে মুখের স্বাদ চলে যাওয়া এবং ক্ষুধা না লাগা। এই অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর খাবারে প্রোটিন থাকা জরুরি। চিকেন প্রোটিনের অন্যতম সহজলভ্য উৎস হলেও, একঘেয়ে রান্নায় অনেক সময়ই খেতে ইচ্ছে করে না। এই সময় একটু টুইস্ট দিলে একই উপকরণে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে খাওয়ার আগ্রহ। সেই উদ্দেশ্যেই রইল এক সহজ ও সুস্বাদু রেসিপি—টক-ঝাল সরষে চিকেন।
∆ সরষে চিকেন তৈরির উপকরণঃ
পরিমাণ মতো মুরগীর মাংস;
টক দই;
সরষের তেল;
কাঁচা লঙ্কার পেস্ট;
গোটা কাঁচা লঙ্কা (যতটা ঝাল খেতে চাইবেন);
রসুন পেস্ট;
সরষে বাটা (শিলনোড়ায় বেটে নিতে পারেন অথবা মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে পারেন);
নুন;
হলুদ গুঁড়ো;
জিরে গুঁড়ো;
চিনি (বাধ্যতামূলক নয়)।
∆ প্রণালীঃ
একটি পাত্রে মাংসের পিসগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তাতে রসুন আর কাঁচা লঙ্কার পেস্ট মাখান। একটু সরষের তেল দিয়ে আবার মেখে নিন। তাতে নুন আর একটু হলুদ গুঁড়োও দিয়ে দেবেন। এবার গোটা বিষয়টাকে ভালো করে ঢাকা দিয়ে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর আরেকটা বাটি নিয়ে তাতে দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিয়ে গরম হতে দিন। তাতে আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দিন। একটু জল ছাড়বে। জল শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কষাতে থাকুন। একটু শুকনো হয়ে গেলে দই দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। হালকা আঁচে রান্নাটা করতে থাকুন। তারপর নুন, জিরে গুঁড়ো, চিনি, গোটা লঙ্কা দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। শুকিয়ে গেলে একটু জল দিন। গরম জল দিলে রান্না ভালো হয়। রান্নার প্রায় শেষ পর্যায়ে সরষে বাটা দিয়ে দিন। তার কিছুক্ষণ পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার উপর দিয়ে সামান্য কাঁচা সরষের তেল দিয়ে ঢেকে দিন। ব্যস তৈরি সরষে চিকেন। একেবারে ভাত খাওয়ার সময় ঢাকনাটা খুলবেন।
এই বর্ষায় ভাইরাল জ্বরের সঙ্গে লড়াই করতে স্বাস্থ্যকর ও স্বাদযুক্ত খাবার যেমন জরুরি, তেমনই খাবারের বৈচিত্র্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই একঘেয়ে সেদ্ধ বা ঝোলের বদলে একবার চেখে দেখুন টক-ঝাল সরষে চিকেন। স্বাস্থ্য থাকুক ঠিক, স্বাদ থাকুক বজায়!