
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: জয়া বচ্চন সম্প্রতি বিয়ে ও সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে বিয়ের ধারণা প্রায় পুরানো হয়ে গেছে। জয়া আরও জানিয়েছেন, তিনি চান না তাঁর নাতনি নভ্যা নাভেলি বিয়ে করুক, বরং জীবনকে উপভোগ করাই গুরুত্বপূর্ণ। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার কথাগুলো কারও কাছে আপত্তিকর মনে হতে পারে। তবে একে অপরের শারীরিক আকর্ষণ ও সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত হয়ে থাকে, আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি।”
বিয়ে নিয়ে অমিতাভ বচ্চনেরও একই মতামত আছে কিনা জানতে চাইলে জয়া বলেন, ‘তিনি হয়তো বলতে পারেন যে আমিই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’। উই দ্য উইমেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চনকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে অমিতাভ বচ্চনেরও বিয়ে সম্পর্কে একই চিন্তাভাবনা আছে কিনা, তখন অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিনি। উনি হয়তো বলবেন এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল, কিন্তু আমি তা শুনতে চাই না।’ জয়া বচ্চন স্বীকার করেছেন যে আজ বিয়ে সম্পর্কে তাঁর খুব আলাদা চিন্তাভাবনা থাকলেও তিনি প্রথম দর্শনেই অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েছিলেন।

জয়ার মতে, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর জীবনের প্রেমের গল্প আজও আকর্ষণীয়। জয়া বচ্চন কখন অমিতাভ বচ্চনের প্রেমে পড়েন এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘পুরোনো ক্ষত কুড়ে কী আনন্দ পাবেন? আমি গত ৫২ বছর ধরে বিবাহিত। এর চেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারব না। আমি যদি বলি বিয়ে করো না, আমাকে পুরানো দেখাবে, আমি প্রথম দর্শনেই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম’। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ‘গুড্ডি’ ছবির সেটে, আর প্রেমের সূত্রপাত ‘এক নাজর’ ছবির শুটিংয়ের সময়। ১৯৭৩ সালে চারহাত এক হয়েছিল এ দম্পতি। জঞ্জির ছবির সাফল্যের পর এক রাতেই লন্ডন ভ্রমণের অজুহাতে তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
জয়া-বিগ বি যুগল পরবর্তীতে ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘মিলি’, ‘শোলে’, ‘সিলসিলা’ ও ‘কাভি খুশি কাভি গম’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁদের দুই সন্তান—কন্যা শ্বেতা বচ্চন (১৯৭৪) এবং পুত্র অভিষেক বচ্চন (১৯৭৬)। জয়া বচ্চনের উন্মুক্ত মন্তব্য বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিয়ের প্রথাগত ধারণা ও সম্পর্কের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। তিনি এও জানিয়েছেন, জীবনের আনন্দ এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাই সম্পর্কের মূলমন্ত্র।
