West Bengal

1 week ago

Nawsad Siddique : প্রচার শুরু নওশাদের! তবে পরিচিত সেই জমায়েত অধরা সভায়

Nawsad Siddique (File Picture)
Nawsad Siddique (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতঘুম ভেঙে অবশেষে ভাঙড়ে প্রচার শুরু করলো ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মঙ্গলবার দুপুরে কাশীপুর বাজারের কাছে একটি আমবাগানে কর্মিসভা করে ভোটের প্রচার শুরু করে আইএসএফ। সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সভা থেকেই সিপিএম, কংগ্রেস সবাইকে আক্রমণ করেন নওশাদ। ছাড় পায়নি তৃণমূলও।

কিন্তু কর্মিসভায় আশানুরূপ লোক জোগাড় করতে পারেনি আইএসএফ। সভাস্থলে বহু চেয়ার পাতাই হয়নি লোকের অভাবে। শতাধিক চেয়ার লাট দিয়ে রাখা ছিল প্যান্ডেলের এক কোণে। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর কাশীপুর থানার কাছে জামাইপাড়ায় একটি আমবাগানে কর্মিসভা করে আইএসএফ। এ দিন নওশাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান, দলের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক-সহ অন্যান্য নেতারা।

ওই কর্মী বৈঠক থেকে নওশাদ শুরুতেই আক্রমণ করেন বামেদের। তিনি নিজেকে সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক হিসেবে দাবি করেন। তাঁর দাবি, এখনও বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নওশাদ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। ভাঙড়ে সিপিএম নেতা তুষার ঘোষ, রশিদ গাজির মতো কিছু ভালো মানুষ রয়েছেন।

কিন্তু এরা দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নেই। সিদ্ধান্ত নেয় উপরতলার কয়েকজন নেতা। কিন্তু তার জন্যই আমাদের আলাদা লড়াই করতে হচ্ছে। যদিও সেই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব।’ নওশাদের কথায়, ‘ভাঙড় ঠিক করে যাদবপুরে কে জিতবে। ভাঙড়কে সামনে রেখে আমরা যাদবপুর লোকসভায় জিতব। এতদিন আমাদের মাথার উপর কাঁঠাল রেখে বামেরা খেয়েছে। এ বার থেকে সেটা হবে না।’

লোকসভা ভোট ঘোষণার পর কিছুটা আকস্মিক ভাবেই বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে আইএসএফ। এ নিয়ে ভাঙড়ে দলের মধ্যে প্রবল অস্বস্তি শুরু হয়। সে কথা মনে করিয়ে নওশাদ দলীয় কর্মীদের বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেন। তিনি কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা বুথ কমিটি তৈরি করে বাড়ি বাড়ি যান। মানুষের কাছে ভোট চান। আমি ভাঙড় থেকে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। সেই মার্জিন বাড়াতে হবে।’

এ দিন দুপুরে প্রথম মাঝেরহাট গ্রামে নিজের দলীয় কার্যালয়ে আসেন নওশাদ। তার পর তিনি জামাইপাড়ায় দলের নির্বাচনী কর্মিসভায় যোগ দেন। ওই সভায় প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী ও সংগঠক উপস্থিত থাকলেও সে ভাবে সমর্থকদের দেখা মেলেনি। পরে নওশাদ মঞ্চে আসার কিছুক্ষণ আগে হাজার খানেক লোক আসেন।

যদিও দলীয় কর্মীদের বসার জন্য যে পরিমাণ চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ভরাট হয়নি। তা নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা বলেন, ‘নিজের এলাকায় যিনি সভাস্থল ভরাতে পারেন না, তিনি আবার বড় বড় কথা বলেন। নওশাদের দল ভোটে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।’

You might also like!