দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ২১ নভেম্বর পুরসভায় আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। অপসারিত হন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। তার পর থেকেই পুরবোর্ডের প্রধান নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানা পড়েন চলছিল। এরই মধ্যে রবিবার দু’দলের মনোনীত প্রধান জবা এবং শীলা একসঙ্গে ঝালদা পুরসভায় এসে হাজির হলে জমে ওঠে নাট্য মঞ্চ। এই মর্মে সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্ট ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করল।
প্রসঙ্গত, ঝালদায় আস্থাভোটে জিতে কংগ্রেস পুরপ্রধান নিয়োগের অনুমতি চাইলে তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাল্টা সরকার জানিয়েছিল, যেহেতু পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধান দু’জনেই পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে। সোমবার হাই কোর্ট সেই সিদ্ধান্তেই স্থগিতাদেশে দিয়েছে, তারা বলেছে ঝালদায় আপাতত কোনও প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না সরকার।
উল্লেখ্য, পুরভোটে ঝালদায় ১২টি আসনের মধ্যে সমান সমান ফল করেছিল তৃণমূল এবং কংগ্রেস। এর পর থেকেই কোন দল পুরসভায় বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল।সম্প্রতি তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। তলবি সভায় তারা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ চেয়ারম্যান পদ সরে যান। কিন্তু তার পরও কংগ্রেস ঝালদার পুরবোর্ড গঠনের অনুমতি পায়নি।এমত পরিস্থিতিতে, শাসক দলের এক কাউন্সিলরকেই প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। সরকারের তরফে এই নিয়োগ হতে চলেছে জানার পরই গত ২৪ নভেম্বর অধীর চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়েছিলেন বাংলার নতুন রাজ্যপালকে। কিন্তু তার পরও কাজ না হওয়ায় রাজ্যপালকে আবার চিঠি দিয়ে ঝালদায় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন অধীর।