বিশালগড় (ত্রিপুরা) : বিশালগড় পুর পরিষদের সাফাই কর্মীকে ধর্ষণের পর খুন করার অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিশালগড় অ্যাডিশনাল সেশন জজ। ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে অ্যাডিশনাল সেশন জজ দেবাশিস কর বিশালগড় থানার ২৬/২০২০ মামলায় অভিযুক্ত চন্দন দাস এবং সুমন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬/ডি/৩০২/২০১/৩৪ ধারায় রুজুকৃত মামলায় বিশালগড় থানার তদন্তকারী অফিসার রাজু ভৌমিক তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিলেন।
প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল বিশালগড়ের মুড়াবাড়ি এলাকার অভিযুক্ত সুমন দাস বিশালগড় পুরপরিষদের তৎকালীন সাফাই কর্মী কৃষ্ণা দাসকে জোরপূর্বক তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত চন্দন দাস এবং সুমন দাস মিলে কৃষ্ণা দাসকে ধর্ষণ করে। পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে কৃষ্ণা দাসকে খুন করে। এমন-কি প্রমাণ লোপাট করার জন্য চন্দন এবং সুমন মিলে কৃষ্ণা দাসের মৃতদেহ বিশালগড় এসডিএম অফিস সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত গর্তে ফেলে দিয়েছিল।
তিনদিন পর (ওই সালেই) ২৭ এপ্রিল দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজে পরিত্যক্ত গর্তে জনৈক মহিলার লাশ দেখে খবর দেন থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তাকে কৃষ্ণা দাস বলে শনাক্ত হয়। কৃষ্ণা দাসের পুত্রবধূ সুমিত্রা দাসের সন্দেহ হয়, পাশের বাড়ির সুমন দাস ও চড়িলামের চন্দন দাস তাঁর শাশুড়িকে খুন করেছে। তৎক্ষণাৎ বিশালগড় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে দুই অভিযুক্ত স্বীকার করে কৃষ্ণা দাসের সঙ্গে তাদের কুকীর্তির কথা। অভিযুক্ত সুমন দাস ও চন্দন দাসকে জেল হেফাজতে তিন বছরের বেশি সময় রেখে বিচারের কাজ সম্পন্ন করা হয়। আজ শনিবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন অ্যাডিশনাল সেশন জজ দেবাশিস কর। দুই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছে আদালত।