কৈলাসহর (ত্রিপুরা) : ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঊনকোটি জেলা পরিষদে বিজেপি দলের প্রার্থীদের প্রচার জোরকদমে চলছে। ১৩ আসন বিশিষ্ট ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস এবং উপ-সভাধিপতি শ্যামল দাস ছাড়া বাকি ১১ জন জেলা পরিষদের সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন ১১ জনকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই সভাধিপতি এবং উপ-সভাধিপতির ওপর বাড়তি চাপ রয়েছে।
দল জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর থেকে ঊনকোটি জেলা পরিষদের উপ-সভাধিপতি শ্যামল দাস প্রতিদিন সকাল ও বিকাল, দু বেলা করে নিয়মিত প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে যাচ্ছেন। পাঁচ নম্বর আসনে দল এবারও শ্যামল দাসকে প্রার্থী করেছে। এই পাঁচ নম্বর আসনের অধীনে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত যথাক্রমে চণ্ডীপুর, সমরুরপাড়, মনুভ্যালি এবং মূর্তিছড়া। চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতই বিগত পাঁচ বছর শাসক বিজেপি দলের অধীনেই ছিল।
শ্যামল দাস বিগত পাঁচ বছর ঊনকোটি জেলা পরিষদের উপ-সভাধিপতি হওয়ার সুবাদে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উন্নন মূলক কাজ করিয়েছেন। তাছাড়া শ্যামল দাস গোটা কৈলাসহর মহকুমাবাসীর কাছে এক পরিচিত মুখ।
আজ সকালে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযানে শামিল হয়েছিলেন তিনি। বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযানে প্রার্থী শ্যামল দাস চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় প্রার্থী তথা দুই নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর আসনের প্রার্থী সুস্মিতা দাস, চার নম্বর আসনের প্রার্থী অঞ্জু দাস মালাকার এবং চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির তিন নম্বর আসনের প্রার্থী সত্যজিৎ দাসকে প্রতিটি বাড়ির সাধারণ মানুষদের সাথে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেন তিনি। বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযানে যুবনেতা তথা চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অপর প্রার্থী বিপ্লব দাস, যুবনেতা নীলমণি দাস ছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাড়ি বাড়ি প্রচারাভিযান চলাকালীন ঊনকোটি জেলা পরিষদের পাঁচ নম্বর আসনের প্রার্থী শ্যামল দাস সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিগত পাঁচ বছর বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের মাধ্যমে পঞ্চায়েত এলাকায় যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ যেভাবে উপকৃত হয়েছেন তার নিরিখেই এবার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে দলীয় প্রার্থীরা ভালোই সাড়া পাচ্ছেন।