ধর্মনগর (ত্রিপুরা), ২১ আগস্ট : মাদক-বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। আজ সোমবার কাকভোরে অসমের আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার উত্তর জেলায় অবস্থিত চুড়াইবাড়িতে পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ১০ কোটি টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। মাদক পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ব্রাউন সুগার পাচারে ব্যবহৃত একটি টাটা সুমো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ধৃত তিন মাদক পাচারকারীকে যথাক্রমে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগরের আব্দুল আলি, সমরকৃষ্ণ দাস এবং প্রসেনজিৎ দাস বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।
উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, তাঁদের কাছে খবর ছিল, অসম থেকে তিন ব্যক্তি বিপুল পরিমাণের ব্রাউন সুগার নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। সে অনুযায়ী আজ ভোররাত থেকে তাঁর নেতৃত্বে চুড়াইবাড়ি থানার ওসি সমরেশ দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্তে চুড়াইবাড়িতে নাকা পয়েন্ট গড়ে অবস্থান করছিল।
ভোরের দিকে এমএন ০১ একে ৩১৩৯ নম্বরের একটি টাটা সুমো অসমের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন চুড়াইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোস্ট অতিক্রম করে ত্রিপুরার প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়িতে আসলে তার গতিরোধ করা হয়। তখন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা টাটা সুমোয় তালাশি চালিয়ে তার বেশ কয়েকটি গোপন চেম্বার থেকে ১০০টি সাবান ক্যাসে মোট ১.৩০০ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ দশ কোটি টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেন।
পুলিশ সুপার জানান, মাদক-বিরোধী অভিযান তীব্র করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নির্দেশে গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজ্যের চুড়াইবাড়ি থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ১৬টি নাকা পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে মাদকদ্রব্যের আদান-প্রদান প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে পাচারকারীদের কাছে। ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে এনডিপিএস-এর নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আজই ধর্মনগর জেলা আদালতে তোলা হবে, জানান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী।
এদিকে অসমের চুড়াইবাড়ি ওয়াচপোস্টের ইনচার্জ প্রণব মিলিকে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে কী করে এত বিশাল পরিমাণের ব্রাউন সুগার ত্রিপুরায় গিয়ে ধরা পড়ল প্রশ্ন করলে তিনি জানান, মাদকবাহী টাটা সুমোটি মিজোরাম হয়ে ত্রিপুরার সীমান্তপথে চুড়াইবাড়িতে প্রবেশ করেছে, অসম থেকে ত্রিপুরায় যায়নি।