দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ত্রিপুরার ওবিসি, এসসি ও এসটি জনগোষ্ঠীর মানুষের শিক্ষাগত, সামাজিক এবং আর্থিক মানোন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে। রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ২৪৫ শতাংশ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ রয়েছেন। তাদের বাদ দিয়ে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ড. বি আর আম্বেদকর স্মৃতি মেধা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ড. বি আর আম্বেদকরের স্বপ্ন ছিল সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের উন্নয়ন। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আম্বেদকরের এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন। ড. বি আর আম্বেদকর বৈষম্যমূলক সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে সকলের মধ্যে সমতা আনতে চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিষয়েও অগ্রাধিকার দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌছাতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রকে পাথেয় করেই সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নেও সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, এসসি, এসটি ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীরাও যাতে সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। তারাই আগামীদিনে রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধি করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের সচিব তাপস রায়, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, ওবিসি রাজ্য কমিশনের চেয়ারম্যান তাপস মজুমদার, ওবিসি সমবায় উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি নাথ এবং ওবিসি দপ্তরের অধিকর্তা মোহম্মদ সাজ্জাদ পি প্রমুখ।