দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক; দিনভর টানা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। শহর ও গ্রাম—উভয় জায়গাতেই জল জমে তৈরি হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। বাড়ছে সাপ, পোকামাকড় ও অন্যান্য কীটপতঙ্গের আনাগোনা। বিশেষ করে জলাশয়ের নিকটবর্তী এলাকাগুলিতে সাপের দেখা মেলার সম্ভাবনা বেড়েছে বহুগুণ। অনেক সময় এই সরীসৃপেরা আশ্রয় খোঁজে মানুষের বসত বাড়িতে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা প্রায়শই আশ্রয় নিচ্ছেন কার্বলিক অ্যাসিডের মতো রাসায়নিক দ্রব্যে, কিন্তু তা থেকে শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা সহ নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
∆ এই পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে উপকারী প্রাকৃতিক গাছপালা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন উদ্ভিদবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নিচে রইল এমনই কয়েকটি গাছ, যেগুলি সাপ ও পোকামাকড় দূরে রাখতে কার্যকর:
* লেমনগ্রাস: লেমনগ্রাসের গন্ধ ভীষণ কড়া। আর কড়া গন্ধ সাপ মোটেও সহ্য করতে পারে না। তাই লেমনগ্রাস বাড়িতে থাকা ভালো। তাতে সাপ আনাগোনার আশঙ্কা কমে।
* স্নেকপ্ল্যান্ট: লম্বা পাতার স্নেকপ্ল্যান্টও নাপসন্দ সাপের। তাই বাড়ির ভিতরে সরীসৃপের আনাগোনা রুখতে এই গাছটি রাখতে পারেন।
* মাগওয়ার্ট: এই গাছটির একটি নিজস্ব গন্ধ রয়েছে। যা সাপ একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাই বাড়ির বেড়ার কাছাকাছি এই গাছগুলি রাখতে পারেন। তাতে সাপের আশঙ্কা কমবে অনেকটা।
* গাঁদাফুল: একে তো উজ্জ্বল রং। তার উপর আবার গাঁদাফুলের গন্ধও রয়েছে। তাই গাঁদাফুল গাছ বাড়িতে থাকে সাপের আনাগোনার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
* পিঁয়াজ ও রসুন: পিঁয়াজ এবং রসুন শুধু যে রান্নাবান্নাতে লাগে তা নয়। এর ঝাঁজালো গন্ধ সাপেরও যেন যম। তাই বাড়ির কোণায় কোণায় পিঁয়াজ, রসুন রাখতে পারেন। তবে একটু থেঁতো করে দিতে হবে পিঁয়াজ ও রসুন।
∆ প্রতিরোধের কৌশল:
* এই গাছগুলিকে বাড়ির আশেপাশে লাগানো যেতে পারে;
* গাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে বাড়ির কোণায় ছড়িয়ে দিলে সাপ ঢোকার সম্ভাবনা কমে;
* নিয়মিত বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা ও জল জমতে না দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এই গাছগুলি শুধু সুরক্ষা দেয় না, বরং বাড়ির চারপাশকে করে তোলে আরও সবুজ ও প্রাণবন্ত। বর্ষায় ঘরকে নিরাপদ রাখুন প্রকৃতির উপহার দিয়ে।