Life Style News

1 month ago

Nyanci Tyagi: ন্যান্সি ত্যাগি, কাজ করত মা কয়লাখনিতে, নিজের হাতে বানানো ২০ কেজির গাউনে কান ফ্যাশনে আপতত এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

Nyanci Tyagi make debut to International Cannes Festival
Nyanci Tyagi make debut to International Cannes Festival

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কান ফেস্টিভ্যালে যেন এক গোলাপি বার্বি ডল! গত এক মাস ধরে নিজের হাতে ১০০০ মিটার কাপড় সেলাই করে এই পোশাক বানিয়েছেন ন্যান্সি। ফ্যাশন বোদ্ধাদের চমকে দিলেন উত্তর প্রদেশের গ্রামে বড় হওয়া এই কন্যা।

কানের লাল গালিচায় এখন ফ্যাশন আর গ্ল্যামারের ছটা! ঐশ্বর্য রাইবচ্চন থেকে উর্বশী রাউটেলা ইত্যাদি ফ্রেঞ্চ রিভারা মজে রয়েছে ভারতীয় সুন্দরীদের রূপের মায়ায়। এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কন্যে এমন জাদু করে দেখালেন যে গোটা বিশ্ব হতবাক!

 ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী আপতত এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এই বছরই প্রথমবার কানের মতো বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় হাজির ছিলেন উত্তর প্রদেশের ছোট্ট গ্রামে বেড়ে ওঠা ন্যান্সি। কানে ১০০০ মিটার কাপড় দিয়ে তৈরি গোলাপি ব়্যাফেল গাউনে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি। ন্যান্সির এক মাসের পরিশ্রমের সফল এই ড্রেস, যার ওজন ছিল ২০ কেজি। কোনও নামীদামী ফ্যাশন ডিজাইনার নয়, নিজে এই পোশাক ডিজাইন করেছেন, কাপড় সেলাই করেছেন। ন্যান্সির এই প্রতিভা অজানা নয় তাঁর লক্ষ ফলোয়ার্সের কাছে। বড় মঞ্চে তা তুলে ধরার সুযোগ পাওয়ায় খুশি তাঁরাও। 

ইংরাজি জানেন না, হিন্দিতে কানের রেড কার্পেটে কথা বললেন ন্যান্সি। জানালেন, ‘আমি এই গোলাপি গাউনটি তৈরি করতে আমার হৃদয় এবং আত্মা ঢেলে দিয়েছি। আমার ৩০ দিন সময় লেগেছে ১০০০ মিটার কাপড় সেলাই করে ২০ কেজির এই গাউন তৈরিতে। যাত্রাটি কঠিন ছিল, তবে প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান ছিল….এটি একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো এবং আমি আশা করি আমার সৃষ্টি আপনাদেরকে ততটাই চমকে দেবে যতটা আপনাদের সমর্থন আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’ন্যান্সির পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল। তাতে কমেন্টের ছড়াছড়ি। ওঁর পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটপাড়া। 

কী বলছেন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা?

একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী প্রশংসা করে বলছেন, ‘আজকের ইন্টারনেটে সেরা জিনিস, আপনি একজন তারকা।’  আরেকজন লিখেছেন, ‘ন্যান্সি, এটা আমার ব্যক্তিগত জয়ের মতো মনে হচ্ছে।’ 

বছর কয়েক আগেও অভাব ছিল তাঁর নিত্য সঙ্গী। আইএএস হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন দিল্লি। মা কাজ করত কয়লা খনিতে। মায়ের যন্ত্রণা দূর করতেই টাকা রোজগারের ভূত চাপে ন্যান্সির মাথায়। লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়া ইনসফ্লুয়েন্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পড়াশোনার জন্য জমানো টাকায় ক্যামেরা কিনে নেচে রিল ভিডিয়ো বানাতেন যার জন্য কটাক্ষের শিকার হন আর কোনোদিন সেলাই শেখেননি। পুতুলের জন্য ছেলেবেলায় মায়ের সেলাই মেশিনে জামা তৈরি করতেন। সেই ট্যালেন্টে ভর দিয়েই নায়িকাদের পোশাক সস্তায় তৈরি করে দেখানোর ভিডিয়ো পোস্ট করতে শুরু করেন ন্যান্সি। সেখান থেকেই সুযোগ আন্তর্জাতিক কান মঞ্চে। 


You might also like!