দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ঘুমের কথা বললেই সকলেরই মনে পড়ে রামায়ণের বিখ্যাত চরিত্র কুম্ভকর্ণের কথা। যিনি টানা ৬ মাস ঘুমিয়েই কাটাতেন। রাবনের এই ভাই শুধু বেশি মাস ঘুমোতেন তাই নয়, সেই সঙ্গে একটি গোটা শহরবাসীর খাবার একদিনেই খেয়ে নিতেন। তবে কুম্ভকর্ণের টানা ৬ মাস ঘুমিয়েই থাকার জন্য দেবী সরস্বতীর অবদান অনেকেই।
কেন টানা ৬ মাস ঘুমিয়েই কাটাতেন কুম্ভকর্ণ?
রামায়ণ অনুসারে, কুম্ভকর্ণ ছিলেন রাবণের ছোট ভাই এবং ঋষি বিশ্রব ও রাক্ষস কৈকসীর পুত্র। কুম্ভ মানে কলস আর কর্ণ মানে কান, বড় কান থাকার কারণে ছোটবেলা থেকেই তার নাম কুম্ভকর্ণ রাখা হয়েছিল।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কুম্ভকর্ণ শৈশব থেকেই অত্যন্ত শক্তিশালী
ছিলেন এবং তাঁর বড় ভাই রাবণের মতো একজন তপস্বীও ছিলেন। তাছাড়া তিনি এত বেশি খাবার
খেতেন যে সারা শহরের খাবারও তার জন্য কম পড়ে যেত।
কুম্ভকর্ণের পিতা ঋষি বিশ্ব তার তিন পুত্র রাবণ, কুম্ভকর্ণ
এবং বিভীষণকে তপস্যা করতে বলেছিলেন। কুম্ভকর্ণের তপস্যায় খুশি হয়ে ব্রহ্মাজি তাঁর
সামনে হাজির হন এবং তাঁকে একটি বর দিতে চান। তবে কুম্ভকর্ণ বর ছাড়াও ইন্দ্রের আসন
চাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
দেবরাজ
ইন্দ্র একথাটি জানতে পেরে তিনি দেবী সরস্বতীকে এমন বর চাওয়া থেকে আটকাতে বলেন। তাই
কুম্ভকর্ণের বর চাওয়ার সময় সরস্বতী তার জিভ টেনে ধরেন। কুম্ভকর্ণ তখন ইন্দ্রাসন
(ইন্দ্রের আসন) উচ্চারণের বদলে নিদ্রাসন উচ্চারণ করে বসেন।
কিন্তু ব্রহ্মা কুম্ভকর্ণকে বর দেওয়া নিয়ে চিন্তিত ছিলেন
কারণ তিনি ভেবেছিলেন যদি কুম্ভকর্ণ নিয়মিত পেটভরে ভোজন করেন তাহলে শীঘ্রই সবকিছু শেষ
হয়ে যাবে। আর সেই কারণে ব্রহ্মা তাকে টানা ছয় মাস ঘুমিয়ে থাকার বর দিয়েছিলেন। এরপর
থেকে কুম্ভকর্ণ টানা ছয় মাস ঘুমিয়ে কাটাতেন।