ঘড়ি ধরে খাবার খান। প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এরকম নয় যে দুপুরের খাবার ব্রেকফাস্টে খেয়ে নিলাম। আসলে খিদে পেলে সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে পাকস্থলী থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL) নির্গত হয়। যেটা খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে। সময় মতো সঠিক খাবার না খেলে এই অ্যাসিড নিউট্রিলাইজড হতে পারে না, ডেকে আনে বদহজমের সমস্যা।
আগে থেকেই যাঁদের রয়েছে কোমর্বিডিটির যেমন হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যাথা, গলব্লাডারে সমস্যা। তাঁদের ক্ষেত্রে কড়া পরিমাণে ব্যথার ওষুধ ডেকে আনে জ্বালা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা। পেপটিক আলসার ডিজিজে যেহেতু সব সময় অ্যাসিড সিক্রেশন বেশি থাকে তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই বদহজমের সমস্যাও দেখা যায়।
এছাড়াও, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে দুধের কোনও খাবার খেলে তা হজম হতে চায় না কিংবা গ্লুটেন ইনটলারেন্স থাকলে রুটি খেলে বা আটা-ময়দার খাবার হজমে অস্বস্তি হয়।
ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস যাঁদের রয়েছে, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু এনজাইমগত সমস্যাও। প্যানক্রিয়াটাইটিস হল অগ্ন্যাশয় ফুলে যাওয়া। যার ফলে শরীরের মধ্যে সৃষ্টি হয় কিছু অস্বাভাবিকতা।
মনে মনে ভালো থাকুন, পেটও ঠিক থাকবে
পড়াশোনা, কেরিয়ার, পারিবারিক চাপ সামলাতে গিয়ে এখন প্রত্যেকের মাথায় একাধিক চিন্তা। যা থেকে হয় বদহজম। এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে চাইলে সবার প্রথম হাসিখুশি থাকতে হবে। আজকাল অফিসের চাপে মন খুলে কথা বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এখন সব ইতিহাসের খাতায়।
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, মনের মানুষের সঙ্গে গল্প করা, মন খুলে কথা বলা, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো, পরিবারকে সময় দেওয়ার মতো ভালো অভ্যাসগুলো করুন। মানসিক চাপ কাটাতে প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করাতে পারেন। মন যত ভালো থাকবে ততই ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভালো করে কাজ করবে। পেট ভালো রাখতে মনের শান্তিটাও খুব জরুরি।