দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :ধরা যাক, সকালে আপনি কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি ছাড়তে যাচ্ছেন। তখন দেখলেন, আপনার পোষ্য নানা উপায়ে আপনাকে থামানোর চেষ্টা করছে—কখনও অঙ্গভঙ্গি করে, কখনও বা আওয়াজ করে তার অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
এমন অনেক সারমেয় রয়েছে, যারা বাড়িতে মনিবকে কাছে না পেলে একাকিত্বে ভোগে। নানা ভাবে তা জানান দেয়। কিন্তু তা বলে তো কাজ ফেলে রেখে সারা ক্ষণ পোষ্যকে সময় দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের একাকিত্বের ভয় বা আশঙ্কা প্রশমিত করতে কতগুলি সহজ পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
১) শুধু অফিস নয়, হতে পারে ছুটি কাটাতে এক সপ্তাহ কেউ বাইরে যাবেন। পোষ্যের সঙ্গে বেশি দিনের জন্য দূরত্ব তৈরি হওয়ার আগে ছোট ছোট অভ্যাস করা উচিত। যেমন কোনও একটি ঘরে পোষ্যকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য একা রেখে তার থেকে দূরে থাকা। পোষ্য যদি বুঝে যায়, মনিব বাড়ি ফিরে আসবে, তা হলে সে আর বিরক্তি প্রকাশ করবে না।
২) পোষ্যের একাকিত্ব দূর করতে পারে তার কাছের মানুষের কোনও জিনিস। সারমেয়দের ঘ্রাণশক্তি ও স্মৃতিশক্তি জোরদার হয়। তাই তাদের কাছে মনিবের ব্যবহৃত কোনও পোশাক বা ব্যবহৃত জিনিস রেখে দেওয়া যেতে পারে। চেনা গন্ধ তাদের মনের মধ্যে তৈরি হওয়া ভয় বা উদ্বেগকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।
৩) অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ফলে পোষ্যেরাও অধৈর্য হয়ে ওঠে। কখনও কখনও অহেতুক চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু তা না করে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে পোষ্যের সঙ্গে কয়েক মিনিট সময় কাটাতে পারলে তারা খুশি হবে। তার ফলে তারা সহজেই শান্ত থাকবে।
৪) অবাধ্য বা চঞ্চল পোষ্যকে অনেকাংশে শান্ত করে তাদের খেলনা বা খাবার। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে পোষ্যকে তার খেলনাগুলি দেওয়া যেতে পারে। ফলে কাছের মানুষেরা সঙ্গে না থাকলে খেলনা বা ট্রিটগুলি নিয়েই সে ব্যস্ত থাকবে।
৫) পোষ্যেরা যদি একা থাকার প্রশিক্ষণে অভ্যস্ত না হতে পারে, সে ক্ষেত্রে সম্ভব হলে তাদের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিকে রাখা যেতে পারে। ধরা যাক, বাড়িতে কেউ নেই। সেই ব্যক্তি সময়মতো পোষ্যকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যাবেন। কখনও কখনও তার সঙ্গে সময় কাটাবেন। উল্লেখ্য, এ রকম ব্যক্তির সঙ্গে কুকুরেরা মানিয়ে নিলেও বিড়ালের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।