দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল
ডেস্কঃ- অনেকেই সময় দেখা যায় ছেলেমেয়েরা মিথ্যা কথা বলছে। ছোটবেলায় এই অভ্যাস না থাকলেও,
ধীরে ধীরে বয়ঃসন্ধিকালই বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলার অভ্যাস দেখা দিচ্ছে।
হাজার বারুন, বকাবকি করেও, কোন লাভ হচ্ছে না। সন্তানের মিথ্যা বলার অভ্যাস পরিবর্তন
করতে গিয়ে এক প্রকার হিমসিম খাচ্ছেন বাবা-মায়েরা। তবে এই পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু পন্থা
অবলম্বন করলেই মিথ্যা বলার অভ্যাস ছেলেমেয়েদের থেকে অতি সহজেই দূর হবে।
অভ্যাসবশে মিথ্যা বলাকে বলা হয় ‘কমপালসিভ লাইং’, যা বড় ধরনের
ক্ষতি করে না অনেক সময়েই। মনোবিদদের মতে, ছেলেমেয়েরা যদি বোঝে তারা পরিবারে বা বন্ধুদের
মাঝে অবহেলিত অথবা তাদের ভাবনাকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না, তখন কোনও চাঞ্চল্যকর কথা বলে
বা গল্প ফেঁদে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। আবার এমনও অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা
মিথ্যা বলে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে। অনেক সময়ে অপরাধপ্রবণতা থেকেও এমন হতে পারে। এই
সময় বাবা-মায়েদের অতি সতর্কতার সঙ্গে সন্তানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
১) মনোবিদদের মতে, শান্ত মনে ধৈর্য রেখে কথোপকথনের পথে যেতে
হবে বাবা-মাকে। বকুনি বা উপদেশ দেওয়া, গায়ে হাত তোলা অথবা কটু কথা বা গালমন্দ করলে
মিথ্যা বলার জেদ আরও চেপে বসবে। তাই সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনাই শ্রেয়।
২) সন্তানের সব বিষয়ে অনধিকার চর্চা করবেন না। ধরুন, মেয়ে
আপনার সামনে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে না, তা হলে আপনি সরে যান। সব কাজে বাধা দিলে
ক্ষোভ বাড়বে। তখন গোপন করা বা মিথ্যা বলার প্রবণতা তৈরি হবে। সব বিষয়ে নাক না গলিয়েও
সতর্ক নজর রাখা যায়।
৩) সন্তানকে সময় দিন। বয়ঃসন্ধিতে অহেতুক উপদেশ বা নীতিকথা
শোনার রুচি থাকে না এখনকার ছেলেমেয়েদের। তাই বন্ধুর মতোই মিশতে হবে। তার ভাল লাগা,
মন্দ লাগাগুলিকে গুরুত্ব দিন। তার কথা শুনুন, শ্রোতা হয়ে যান। তা হলেই আপনার প্রতি
ভরসার জায়গা তৈরি হবে।
৪) অনেক সময়ে বন্ধুদের প্রভাবেও মিথ্যা বলার ঝোঁক তৈরি হয়। বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে সন্তান কার কার সঙ্গে মিশছে, কোন কথাটি গোপন করছে। শাসনের বাড়াবাড়ি না করে বোঝাতে হবে যে বয়ঃসন্ধিতে কী কী ভুল হতে পারে, কোন পদক্ষেপে ক্ষতি হতে পারে। নিরাপত্তার বিষয়টি ধৈর্য ধরে বোঝালেই দেখবেন সন্তান আপনার কথা শুনছে।