দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়ন্ত বাচ্চাদের ওজন নিয়ে সচেতন হতেই হয় তাঁর বাবা-মা কে। আর বাচ্চাদের খাবারের ক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে বাচ্চাদের ব্রেকফাস্টের দিকে। যা বাচ্চাকে বৃদ্ধিকালে দ্রুত সাহায্য করবে। এবং এর পাশাপাশি তাঁর শরীরে কোনওরকম পুষ্টির ঘাটতিও হবে না।
ওকে রোজ ডিম দিন
ডিমের মতো সস্তায় পুষ্টিকর অপর একটি খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর কাজ। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যা কিনা ছোট্ট সোনার মাসল মাস বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, ডিম হল ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, কোলিন সহ একাধিক ভিটামিন এবং খনিজের ভাণ্ডার। তাই ব্রেকাফাস্টে ডিম খেলে যে সন্তানের স্বাস্থ্যের হাল অচিরেই ফিরবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
ওটস বা ডালিয়া দিতে পারেন
এই দুই কমপ্লেক্স কার্বে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। আর অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকলে যে ছোট্ট সোনা চিপস, বার্গার, প্যাটিসের মতো আজেবাজে খাবার কম খাবে, তা আর আলাদা করে বলতে হবে নিশ্চয়ই! তাই বাচ্চার শরীরকে চাঙ্গা রাখতে চাইলে তার ব্রেকফাস্টে এই দুই খাবারকে জুড়ে দিন। তাতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।
খাওয়াতে পারেন চিকেন স্টু
রোজ রোজ ওটস, ডালিয়া খেতে কার বা ভালো লাগে বলুন তো! তাই তো মাঝে মধ্যে স্বাদ বদলের জন্য ছোটদের সকালে চিকেন স্টু করে খাওয়াতেই পারেন। তাতেই সন্তানের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যাবে। সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকার। তাই সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন বাচ্চাদের ব্রেকফাস্টে চিকেন স্টু রাখতে ভুলবেন না যেন। ব্যস, তাহলেই সে দ্রুত বেড়ে উঠবে।
এক গ্লাস দুধ দিতে পারেন
দুধে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন। তাই রোজ সকালে ছোট্ট সোনাকে এক গ্লাস লো ফ্যাট মিল্ক খাওয়াতেই পারেন। তাতেই তার বেড়ে ওঠার পথে আর কোনও বাধা আসবে না।
তবে অনেক বাচ্চার আবার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে। তাই তারা দুধ সহ্য করতে পারে না। তবে এইসব বাচ্চাদের অনায়াসে দই, পনির বা ছানা খাওয়াতে পারেন। তাতে সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।
রোজ পাতে দিন গোটা ফল
যেকোনো রকমের মরসুমি ফলেই রয়েছে অত্যধিক মাত্রাতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট। এই সমস্ত উপাদান দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার কাজে একাই একশো। এমনকী ইমিউনিটি বাড়নোর কাজেও মরশুমি ফলের জুড়ি মেলা ভার। তাই ছোটদের সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে ব্রেকফাস্টের ৩০ মিনিট পর একটা ফল খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!