বিপদ আসতে পারে কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকে
গরমের শুরু থেকেই কোল্ড ড্রিংকসের বোতলে চুমুক দেওয়ার ধূম পড়ছে। আর গর্ভধারণের ইচ্ছুক মহিলাদের এহেন কীর্তি দেখেই আঁতকে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, এই সুগারি ড্রিংক নিয়মিত খেলে কিন্তু কনসিভ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। এমনকী এই পানীয়ের কারসাজিতে কমতে পারে ফার্টিলিটি। তাই যতই গরম পড়ুক না কেন, এই পানীয়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।
আলু এড়িয়ে চলুন
কার্বোহাইড্রেট হল শরীরে শক্তির প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিনের পাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ব রাখতেই হবে। তবে এই কথা শুনে আবার কথায় কথায় পাস্তা, পাউরুটি, আলুর মতো সিম্পেল কার্ব জাতীয় খাবার বেশি খাবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। আর সেই সুবাদেই পিছু নিতে পারে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা। তাই কনসিভের চেষ্টা করা মহিলাদের এই ধরনের খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা।
ফাস্টফুড খেলেই চিত্তির!
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত বিরিয়ানি, রোল, পরোটা, চপ, সিঙারা খেয়েই রসনাতৃপ্তি করেন। আর ভুলটা করেন বলেই তাঁদের শরীরে পৌঁছে যায় ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট যা কিনা হার্টের ক্ষতি করার কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, মহিলারা এই ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে খেলে বন্ধ্যাত্বের খপ্পরেও পড়তে পারেন। তাই সন্তানের মুখ দেখার ইচ্ছে থাকলে আজ থেকেই এই খাবারের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন।
যত বিপদ মদ্যপানে
অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পানীয় হল অ্যালকোহল। তাই এই পানীয় নিয়মিত খেলে হার্ট ডিজিজ থেকে শুরু করে ক্যানসারের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ারও আশঙ্কা থাকে। আর সেই সুবাদেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই মদ্যপানের নেশা ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষত, গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় তো এই পানীয় একদমই মুখে দেওয়া চলবে না। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন সুখবর।
অত্যধিক কফিও চলবে না
দিনে ১ থেকে ২ কাপ কফির কাপে চুমুক দেওয়া নিরাপদ। তবে এর থেকে বেশি পরিমাণে কফি খেলেই বিপদ বাড়বে বৈকি। এমনকী এতে মজুত ক্যাফিনের কারসাজিতে গর্ভধারণ করতেও সমস্যা হতে পারে। তাই সন্তানের মুখ দেখতে চাইলে আজ থেকে হিসেব কষেই কফি খান। নইলে কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন না।