দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
'৫ হাজার জনের জন্য কেন ২৬ হাজার জন ভুগবেন, কেন যোগ্য-অযোগ্যদের বিভাজন করা হল না', মূলত এই প্রশ্নই তুলেছে এসএসসি। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আদালতে জমাই দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসসি চেয়ারম্যান জানান, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি। গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল। তাতে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ তারিখ হলফনামা জমা দেওয়া হয়।
কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, অযোগ্যদের চিহ্নিত করা যায়নি। বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেনি এসএসসি। সেই প্রেক্ষিতেই গোটা প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে আদালত। ইতিমধ্যেই চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদও।
সোমবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত পুরো বেতন বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ-সমেত ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।