kolkata

3 hours ago

Calcutta High Court: অভিনব ঘটনা, হেঁশেল নিয়ে শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব এবার কলকাতা হাইকোর্টে! বিরক্ত বিচারপতি

Calcutta High Court
Calcutta High Court

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: হেঁশেল নিয়ে শাশুড়ি-বউমার দ্বন্দ্ব,শুনে অবাক হলেও এটিই সত্য ঘটনা। শুধু তাই নয় এই দ্বন্দ্ব এবার পৌঁছল খোদ কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা রুজু হল আদালতে। এবার রান্নাঘরের সমস্যার সমাধান করবে কলকাতা পুলিশ , এমনটাই নির্দেশ হাইকোর্টের।   

কলকাতার চিৎপুরে পাশাপাশি ২টি বাড়িতে থাকেন ছেলে ও মা। আবেদনকারী বৃদ্ধা অঞ্জু রায়ের (৬২) দাবি, তাঁর রান্নাঘর থেকে সমস্ত সামগ্রী জোর করে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রান্নাঘরের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে তিনি ছোট্ট শোওয়ার ঘরেই রান্না করে দিনযাপন করছেন। চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় রান্নাঘরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন অঞ্জু দেবী। অঞ্জু দেবী আরও জানিয়েছেন, পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সিনিয়র সিটিজেন আইন অনুযায়ী, এই রান্নাঘরের সুবিধা তাঁর পাওয়ার কথা। 

অপরদিকে ছেলের দাবি, মা নিজেই রান্না ঘর থেকে তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন। ফলে দখল করার অভিযোগ ঠিক নয়। মা সম্ভবত দিদিদের উসকানিতে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

শাশুড়ি- বউমার মাঝখানে পড়ে বেহাল অবস্থা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। প্রথমে মামলাটি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট ফোরামে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে চিৎপুর থানার পুলিশকে গৃহযুদ্ধ বন্ধ রাখতে ১ দিন অন্তর ১ জন মহিলা কন্সটেবলকে বৃদ্ধার বাড়িতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, রান্নাঘর নিয়ে দ্বন্দ্ব কলকাতা হাইকোর্টে! এই সমস্যার সমাধান তো পুলিশই করতে পারবে। তাঁর নির্দেশ, চিৎপুর থানার পুলিশকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রান্নাঘরের অধিকার অঞ্জু রায়ের নাকি বিশ্বজিৎ রায়ের স্ত্রীর হবে? আইনজ্ঞ মহলের মতে, বর্তমান সমাজে সাংসারিক  দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে রান্নাঘর নিয়েও উচ্চ আদালতকে বিচারের জন্য সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।


You might also like!