দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ পদ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এই সংকট মোকাবিলায় হস্তক্ষেপ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিমানী কল্যাণকে আপাতত আরও তিন দিন চিফ হুইপের দায়িত্বে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিষেক। চলতি সপ্তাহেই শ্রীরামপুরের এই সাংসদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা।
সোমবার দুপুরে দিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে যে খুব একটা খুশি নন, তা-ও জানান দলনেত্রী। এই বৈঠকের পরই চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি চিফ হুইপ ছিলাম। যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।” এরপর মহুয়া মৈত্রকে বিঁধে তিনি আরও বলেন, “দিদি বলছেন, আমি ঝগড়া করছি কেন? কেউ আমাকে গালাগাল করলে আমি চুপ করে থাকব?” এক্স হ্যান্ডেলেও একরাশ উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতাকে। তিনি বলেন, “উত্তেজিত হয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। তিনদিন পর আমি দিল্লি যাচ্ছি। যেভাবে দলের চিফ হুইপ হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন আগামী ৩ দিন সেভাবেই কাজ করুন। ৭ তারিখ আপনার সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানেই এনিয়ে বিস্তারিত কথা হবে।” অর্থাৎ বলা যায়, আপাতত কল্যাণের ইস্তফার সিদ্ধান্ত মুলতুবি রয়েছে। ৭ তারিখের বৈঠকে কি মান ভাঙবে সাংসদের? সেদিকেই তাকিয়ে সবমহল।