Country

6 hours ago

Anil Ambani: অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ইডির লুক আউট নোটিস, আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে জোরালো তদন্ত!

ED sends summons to Anil Ambani in Rs 17000 crore loan scam
ED sends summons to Anil Ambani in Rs 17000 crore loan scam

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:  আবারও আইনের জালে অনিল আম্বানি। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার লুক আউট নোটিস জারি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর ফলে আপাতত দেশ ছাড়তে পারবেন না তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় অনিল আম্বানির ভূমিকা  নিয়ে তারা তদন্ত চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লি ও মুম্বইয়ের মোট ৩৫টি স্থানে এবং শুক্রবার কলকাতা ও ভুবনেশ্বরেও অনিলের সঙ্গে সম্পর্কিত অফিস এবং সংস্থায় তল্লাশি চালানো হয়। শুক্রবারই অনিলকে ডেকে পাঠানো হয় নয়াদিল্লির ইডি সদর দপ্তরে। তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর  বিকেলেই তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় লুক আউট নোটিস। 

সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-এর দায়ের করা দু’টি পৃথক এফআইআরের ভিত্তিতেই ইডির এই তল্লাশি ও তদন্ত। ইতিমধ্যেই অনিলের অন্তত ৫০টি সংস্থার উপর নজর রেখেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ২৫ জনকে। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং অনিল আম্বানিকে ‘ফ্রড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানায়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই-এর কাছে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। 

প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন অনিল আম্বানি। ২০২০ সালে ইয়েস ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে এবং ২০২৩ সালে একটি পৃথক আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে তলব করে ইডি। ইয়েস ব্যাংক মামলায় পরে গ্রেপ্তার হন রানা কাপুর। একসময় দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতির তালিকায় থাকা অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস আগেই দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। পাওনাদারদের দেনা মেটাতে বিভিন্ন সম্পত্তি বিক্রির পথেও হেঁটেছেন তিনি। তবে এবারের অভিযোগের গুরুত্ব ও তল্লাশির পরিমাণ দেখে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে চলেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অনিল  আম্বানির বিরুদ্ধে শুরু হতে পারে আরও কড়া আইনি পদক্ষেপ।


You might also like!