দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- দেশে প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে নেত্রকোণা জেলায় সব মণ্ডপে দুর্গাপূজার ব্যাপক আয়োজন হয়। কিন্তু এবার এই জেলায় অন্তত ৯৫টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন হচ্ছে না।
সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে ‘মহালয়া’-র মাধ্যমে। শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা।
নেত্রকোণা জেলা শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন পণ্ডিত জানান, এ বছর নেত্রকোণায় ৪৬৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। যেখানে গত বছর মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৫৬০টি। তবে সাম্প্রতিক বন্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে অনেকেই এ বছর পূজার জন্য বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘হয় –তো-বা কোনও আতঙ্কের কারণেও অনেকে পূজার আয়োজনের সাহস করতে পারেননি’, ধারণা লিটন পণ্ডিতের।
এদিকে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এর কারণ অনেকেই পারিবারিকভাবে পূজার আয়োজন করে থাকতেন। এবার অনেকেই পারিবারিক পূজার আয়োজন করছেন না বলেই এই জেলায় এবার মোট মণ্ডপের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছু কম, বলেন পুলিশ সুপার মাহমুদ।
তবে নেত্রকোণাকে এখনও ধর্মীয় সম্প্রীতির অঞ্চল বলেই বিশ্বাস করেন লিটন পণ্ডিত সহ এই অঞ্চলের সাধারণ সনাতনীরা। পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও জেলার সাধারণ প্রশাসন এবং পুরসভার প্রশাসক সহ প্রত্যেকেই নির্বিঘ্নভাবে পূজার আয়োজনের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।
জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, পূজায় নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি হিসেবে প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিসিটিভির ব্যাবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল পার্টি, স্ট্যান্ডিং ডিউটি ও ক্লাস্টার ব্যাসিসে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যান্য সকল বাহিনীগুলোও সক্রিয় থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। পূজা চলাকালীন সকল মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মাঠে সর্তক পাহারায় থাকবে পুলিশ, যাতে পূজায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটতে না পারে।