
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের শুরুতেই দিকে দিকে বাড়ছে ছত্রাকজনিত সংক্রমণের সমস্যা। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়। এই সময় সামান্য অসতর্ক থাকলেই ত্বকে ছত্রাকের বৃদ্ধি দ্রুত ঘটে। শুধু ত্বক নয়—চুল, নখ, এমনকি চোখেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই সংক্রমণ। শীতকালে সাধারণত দাদ, হাজা, ছুলি, স্ক্যাল্প ইনফেকশন, নখে ফাঙ্গাস, এবং চোখে ‘ফাঙ্গাল কনজাংটিভাইটিস’–এর মতো সমস্যা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত অংশে লালচে দাগ, চুলকানি, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, নখের রঙ বদলে যাওয়া বা চুলের গোড়ায় ব্যথাও দেখা দিতে পারে।
ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে করণীয়-
১) শীতকাল মানেই আলস্য, অপরিচ্ছন্নতা। এই সময় অনেকেই স্নান না করে দু-একদিন কাটিয়ে ফেলেন। অনেকে তো আবার সপ্তাহ ভর জল স্পর্শ করেন না। পরিবর্তে ভেজা তোয়ালে দিয়ে গা মুছে নেন। বগল, স্তন, কুঁচকি, যৌনাঙ্গ এই সময় যতটা পরিষ্কার রাখা উচিত, অনেকেই তা রাখেন না। বদলে ভিজে তোয়ালে দিয়ে সেই স্থানগুলি মুছে নেন। এর ফলে ছত্রাকের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই নয়। শীতকালে অনেকেই বাইরে ঘুরতে যান। হোটেলে উঠে অন্য তোয়ালে ভুলেও ব্যবহার করবেন না। হোটেলের বিছানাও কতটা পরিচ্ছন্ন তা খেয়াল রাখুন।
২) শীতের পোশাক না ধুয়ে সেটা এক নাগাড়ে ব্যবহার করতে থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। নিয়মিত অন্তর্বাস পালটাতে হবে। হাওয়া চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা বাঞ্ছনীয়। সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিয়মিত স্নান করুন।
৩) পায়ের দুটি আঙুলের ভাঁজে ছত্রাক সংক্রমণের ভয় সব চাইতে বেশি। যাদের পায়ে ঘাম হয় তারা খোলামেলা জুতো পরুন। আঁটসাট মোজা পরবেন না। এতে ঘাম হয়ে পায়ে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে। জুতো বদল করে পরতে পারেন। কিংবা মোজার ভিতরে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন।
৪) হাত পায়ের নখ নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বড় নখ কেটে ফেলুন। চুলকানি হলে নখ দিয়ে চুলকোলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। শীতে মোজা ও বুট জুতো পরার অভ্যাস বেড়ে যায়। অথচ এই মোজা ও বুট জুতোতেই ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা সবচাইতে বেশি।
তবে অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ছত্রাক সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই শীতের মৌসুমে সামান্য অসতর্কতাই বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আগাম সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায়।
