কলকাতা, ৭ মার্চ : চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হাইভোল্টেজ ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ শুরুর আগে চলছে কথার লড়াই। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে। এর সঙ্গে চলছে কোনও খেলোয়াড় হবেন তুরুপের তাস। এই বিশ্লেষণে কেউ ভারতকে এগিয়ে রাখছেন আবার কেউ প্রসংশায় ভাসাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডকে। এখন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্স আর শক্তিমত্তার নিরিখে কোন দল কতটা এগিয়ে।
গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে কিউরা হারলেও, কিন্তু ব্যাট-বলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরে ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের বাজি রাচিন রবীন্দ্র। ৩ ম্যাচে ২২৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন রবীন্দ্র। ৩টি ম্যাচের দুটিতেই তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। একটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আর অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। রাচিনের চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেটের। এর ফলে তিনি আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকার প্রথম স্থানে। তবে ফাইনাল ম্যাচে আর মাত্র দুই রান করলেই তিনি টপকে যাবেন এই ইংলিশ ব্যাটারকে। সুতরাং এই মেগা ফাইনালে ভারতের গলার কাটা হতে পারেন এই কিউ অলরাউন্ডার। এছাড়া ব্যাট হাতে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন টম ল্যাথাম ও প্রাক্তন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনও। ৪ ম্যাচে ১টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই দুই ব্যাটার। এদিকে ভারতের ভরসার নাম বিরাট কোহলি। ৪ ম্যাচে ২১৭ রান করে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন ৪র্থ স্থানে। এছাড়া ১৯৫ রান করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হয়েছে, মোট ১৩টি। তার মধ্যে এই তালিকায় আছেন বিরাট, রবীন্দ্র, উইলিয়ামসন ও শুভমন। বোলিংয়েও ভারতের থেকে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ম্যাট হেনরি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন শুভমান গিল, বিরাট কোহলি সহ ৫ উইকেট। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে হেনরিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি । তাই ডানহাতি এই পেসারের দিকে ভারতকে লক্ষ্য রাখতেই হবে। এছাড়া ৭ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে মিচেল স্যান্টনারও। অন্যদিকে ভারতের রয়েছে দুই বোলার মহম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তি। ৮ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে শামি। আর ৭ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন বরুণ। পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, ফাইনালে ফেবারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামবে ভারত। কারণ, ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রতিটি ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। সুতরাং মাঠটা ভারতের কাছে অনেক পরিচিত। বলা যেতে পারে ঘরের মাঠের মতো। তাই অনেকটাই এগিয়ে থেকে ভারত রবিবার ফাইনালে নামবে এটা বলাই যায়।