Travel

3 days ago

Kaziranga National Park: প্রকৃতি প্রেমীদের ভ্রমণের সেরা ঠিকানা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান! জেনে নিন বিস্তারিত

Kaziranga National Park
Kaziranga National Park

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোরা মানে শুধু পাহাড় আর সমুদ্র নয়। বেড়ানোর অন্যতম এক প্রাকৃতিক উপাদান বিভিন্ন পশুর জীবনের সন্ধান। যারা জঙ্গল ও বন্য জীবন একসঙ্গে দেখতে চান তাদের জন্য রইল কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের কিছু খোঁজ-খবর। ফেব্রুয়ারি মাসে অসমের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণের প্ল্যান করে ফেলতে পারেন। এই অভয়ারণ্যটি প্রধানত বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী গণ্ডারের জন্য বিখ্যাত। ভ্রমণার্থীদের জন্য এই অভয়ারণ্যটি নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে গণ্ডার ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশু এবং নানান ধরণের পাখিদের দেখা পাওয়া যায়; আর সেই কারণেই পশুপ্রেমী মানুষের কাছে এই অভয়ারণ্যটিকে স্বর্গ বললেও কোনও ভুল হবে না। তবে সম্পূর্ণ অভয়ারণ্য ভ্রমণ এবং অজানা পশুদের সন্ধান পাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসটা এক্কেবারে আদর্শ। এই সময় এখানকার তাপমাত্রা ২৫ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। এমন সুন্দর পরিবেশে অর্থাৎ না গরম,না শীতে - কাজিরাঙা ভ্রমণ আদর্শ সময়। 

  এখানে এলে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি পশুর সান্নিধ্যে এসেছেন। তাহলে মন উজাড় করে ঘুরতে পারবেন।অনেক অচেনা পশু এবং পাখীদের সাথে আলাপ করে আসতে পারেন, বনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে বনের মধ্যে রাত্রিবাসের প্ল্যান করতে পারেন, মাজুলি দ্বীপপুঞ্জ ঘুরে দেখতে পারেন, শিবসাগরের স্থাপত্যশিল্পের কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হতে পারেন এবং অসমের বিখ্যাত চা বাগান পরিক্রমা করে আসতে পারেন। 

কীভাবে যাবেন? জেনে নিন, যেভাবেই যান কোলকাতা থেকে আগে গৌহাটি পৌঁছাতে হবে। তবে  কাজিরাঙা পৌঁছনোর জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হল বিমানযাত্রা। ভারতের যে কোনও জায়গা থেকে পৌঁছে যান গুয়াহাটি বিমানবন্দর। বিমানবন্দর থেকে একটা ছোট গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন এই অভয়ারণ্যে। আর অভয়ারন্যের নিকটতম রেলস্টেশনটি হল হেলেম, যা অভয়ারণ্য থেকে ৩০কিমি দূরে অবস্থিত। তবে গৌহাটি থেকে ট্রেনে হেলেম গিয়েও গাড়ি ভাড়া নিয়ে যেতে পারেন।

কীভাবে থাকবেন? জেনে নিন, জঙ্গলের বাইরে ও ভেতরে থাকার অনেক ভালো জায়গা আছে। তবে বনের মধ্যে রাত্রিবাস করতে চাইলে সেটারও সুযোগ রয়েছে, আর আপনি যদি বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রিবাস করতে চান তাহলে সেটিরও সুযোগ থাকছে। 

তাই আর দেরি কীসের? মনের আনন্দে ঘুরে আসুন কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান।  

You might also like!