দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ রসিকতা করতে পারেও বটে! গত বছর নভেম্বরে ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৩ গোলে এগিয়ে গিয়েও ড্র করার হতাশায় নখ দিয়ে নিজের নাক ও কপাল আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিলেন পেপ গার্দিওলা। কাল রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও হারের পর কেমন লাগতে পারে ম্যানচেস্টার সিটি কোচের? মুখ এবং পুরো মাথায় পেরেক মারা গার্দিওলার একটি ছবি ভাসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে। গার্দিওলার নিশ্চয়ই এখন তেমনই লাগছে!
পার্ক দে প্রিন্সেসে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু তারপর কী হলো কে জানে, ৪ মিনিটের মধ্যে পিএসজির কাছে ২ গোল হজম করে বসল গার্দিওলার দল। পরে ৭৮ থেকে যোগ করা সময়ের মধ্যে হজম করেছে আরও ২ গোল। এই হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সিটির। এখন পরিষ্কার হিসাব হলো, প্লে–অফ পর্বে উঠতে আগামী বুধবার ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে গার্দিওলার দলকে। জয় ছাড়া অন্য যে কোনো ফলেই বিদায় নিতে হবে ইংলিশ ক্লাবটিকে।
গার্দিওলাও জানেন তা, তাই ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ব্রুগার বিপক্ষে আমরা শেষ সুযোগ পাব। আমরা (প্লে–অফে) উঠতে না পারার অর্থ হচ্ছে আমরা সেটার যোগ্য নই।’চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নবমবারের মতো ম্যাচে এগিয়ে থেকে জিততে পারল না সিটি—যা এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষের মাঠেও হারল টানা তিন ম্যাচ। হারের কারণ হিসেবে গার্দিওলা মনে করেন মাঝ মাঠে সিটি খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। অবশ্য পারবে কীভাবে, গোটা ম্যাচে মাত্র ৩৬.৯ শতাংশ সময় বল দখলে রাখতে পেরেছে সিটি, যা গার্দিওলার অধীনে খেলা কোনো দলের ক্ষেত্রে রীতিমতো অস্বাভাবিক। বল দখলে রেখে খেলাই তো গার্দিওলার দলের বৈশিষ্ট্য।
৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ টেবিলে ২৫তম সিটি। ব্রুগার বিপক্ষে লিগ পর্যায়ে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে তারা। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ ২৪ দল উঠবে নকআউট পর্বে। শীর্ষ আট সরাসরি সুযোগ পাবে শেষ ষোলোয়।নবম থেকে ২৪তম—এই ১৬টি দলের মধ্যে প্লে–অফ থেকে বাকি আট দল উঠবে শেষ ষোলোয়।
সিটির বিদায় দেখতে চাওয়া মানুষের কিন্তু অভাব নেই। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিই যেমন সেটা চান। কাল রাতে সালজবুর্গকে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার পর সিটিকে নিয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, সিটি বাদ পড়লে ভালো হতো কারণ তারা আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের দাবিদার।’