দুরন্ত বার্তা
ডিজিটাল ডেস্কঃ- মা কালী মানেই তন্ত্রসাধকদের উপাসক। তৎকালীন ছিয়াত্তরের দশকে মা কালীকে
ঘরে ঘরে পূজিতা হতেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে সাধক রামপ্রসাদের ভক্তিরসের অভূতপূর্ব আবেদনে
বাংলার ঘরে ঘরে মাতৃ রূপে প্রবেশ করলেন শ্মশানবাসিনী কালী। করালবদনী হয়ে উঠেলেন শ্যামা
মা।
রামপ্রসাদ সেন
হলেন সাধক রামপ্রসাদ। পঞ্চমুণ্ডির আসনে ধ্যান হোম, যজ্ঞ করার পাশাপাশি মূর্তি তৈরি
করে দেবী কালীর পুজো করতেন রামপ্রসাদ। তবে আর্থিক সংকট কখনই রামপ্রসাদের পিছু ছাড়েনি।
তবু কর্তব্যপরায়ন সাধক কখনই গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী হয়ে যাননি। তবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে
সভাকবি হওয়ার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন সাধক। পরে কৃষ্ণচন্দ্রের অনুরোধেই
বিদ্যাসুন্দর কাব্য রচনা করেছিলেন রামপ্রসাদ। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে দিয়েছিলেন
'কবিরঞ্জন' উপাধি।এখানেই শেষ নয়, জনশ্রুতি, বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌল্লা বাংলার শ্যামা
গান শুনতে চেয়েছিলেন প্রসাদের থেকে।