
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ২২৫২ কোটি টাকার বিপুল মাদক পাচার মামলায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ওরি আবারও তদন্তের কেন্দ্রে। বুধবার তাঁকে দ্বিতীয় দফায় তলব করেছিল মাদকদমন সংস্থা। আগে প্রথম সমন পাওয়ার পর হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর উপর নজর আরও বাড়িয়েছিল তদন্তকারী দল। তবে এ বার নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে পৌঁছে যান ওরি।সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবেন না। পরবর্তীতে এএনসি ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় সমন জারি করে তাঁকে ২৬ নভেম্বর ঘাটকোপার ইউনিটে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বুধবার ওরি সময়মতো পৌঁছে যান এবং তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।
মাদকবিরোধী সেলের কর্মকর্তারা আইএএনএসকে জানিয়েছেন, এই মামলায় ওরিকে সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি তেমন তথ্য প্রদান করেননি। ওরি জানিয়েছিলেন, সেলিব্রিটি ব্যক্তিরা তাঁকে ইনস্টাগ্রামে প্রচারের জন্য প্রচুর টাকা দিয়ে থাকেন, যার মাধ্যমে তিনি ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এছাড়া, তাঁর কর্মস্থল থেকেও মাসিক প্রায় ৩.৫ লাখ টাকা আয় হয়। এমনকি তাঁর ড্রাইভার, দেহরক্ষী এবং যাতায়াত সংক্রান্ত খরচও সংস্থার পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তদন্তকারী দল দাবি করেছে যে তিনি মাদক মামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, ওরি জানান, তিনি ভারত এবং বিদেশের অসংখ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানে কে উপস্থিত ছিলেন বা কী ঘটেছিল তা একেবারেই মনে রাখেন না। কেবল সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ছবি তোলা এবং অনলাইনে পোস্ট করার জন্য পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। ওরি ছাড়াও, বলিউড অভিনেতা শক্তি কাপুরের ছেলে সিদ্ধান্ত কাপুরকেও সমন জারি করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত ২৫ নভেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৫২ কোটি টাকার এই মাদক মামলাটি ২০২৪ সালের মার্চে শুরু হয়। মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় পুলিশ একটি অবৈধ মেফেড্রোন তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। সেই সময় বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়, যার বিদেশি বাজারে মূল্য প্রায় ২৫২ কোটি টাকা। তবে শুধু ওরিই নয়, বলিউডের বেশ কিছু সেলিব্রিটিকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও কিছু সময় আরও চেয়ে নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম অভিনেতা নোরা ফতেহি এবং শ্রদ্ধা কাপুর।
