Country

3 days ago

NF Rail :পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির ওপর গুরুত্ব এনএফ রেলওয়ের

NF Rail
NF Rail

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ-  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রচার ও পরিবেশের স্থিরতার ওপর গুরুত্ব দিতে দেশব্যাপী ‘স্বচ্ছতা ২০২৪’ অভিযানে গর্বের সাথে অংশগ্রহণ করার জন্য তৈরি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আধিকারিকরা। এই উদ্যোগটি ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এ বছর স্বচ্ছ ভারত মিশনের দশম বর্ষপূর্তি এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে অর্থাৎ ২ অক্টোবর এই স্বচ্ছ ভারত দিবসের সমাপ্তি ঘটবে। এ বছরের থিম ‘স্বভাব স্বচ্ছতা-সংস্কার স্বচ্ছতা’, যার উদ্দেশ্য দেশজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে জনগণের দায়বদ্ধতার ভূমিকা ও সম্মিলিত ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা। স্বচ্ছতা কি ভাগিদারী, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও স্বচ্ছতা লক্ষিতই কায়ি (সিটিইউইউনিট) এবং শেষে সাফাই মিত্র সুরক্ষা শিবির হিসেবে চিহ্নিত তিনটি স্তম্ভ এই থিমের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।

আজ এক প্রেস বার্তায় এ খবর জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা। প্রেস বার্তায় তিনি আরও জানান, ভারতীয় রেলওয়ের (আইআর) লক্ষ্যের সাথে সংগতি রেখে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজেদের জোনের মধ্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিশ্চিত করতে এক ব্যাপক কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে। মুখ্য কার্যালয়ে স্বচ্ছতার শপথবাক্য পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া কার্যাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার অধিক্ষেত্রের সমস্ত কার্যালয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ভবন, রেলওয়ে স্টেশন, ট্রেন, রেলওয়ে কলোনি এবং চারপাশের এলাকায় ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, যেখানে বিশেষভাবে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এই অভিযানের মাধ্যমে স্টেশন চত্বরের মধ্যে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম, ট্র্যাক, শৌচালয়, নালা-নর্দমার ব্যবস্থার পাশাপাশি পে অ্যান্ড ইয়ুজ টয়লেট, ওয়েটিং রুম ও অন্যান্য রেলওয়ে সুবিধাগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একটি নিয়মিত ব্যবস্থা।

এই অভিযানের প্রতি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অবদানের অন্যতম মূলদৃষ্টি থাকবে “এক পেড় মা-কেনা ম” উদ্যাগের ওপর, যা আসলে মালিগাঁওয়ে এক বৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রচারাভিযানের সময় রেলওয়ে চত্বরে আয়োজিত নির্ধারিত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ক্লিননেস টার্গেট ইউনিট (সিটিইউ) চিহ্নিত করা হয়েছে। গণসচেতনতা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রভাত ফেরি, পথনাটিকা এবং স্কুল ও এনজিও-এর দ্বারা বিভিন্ন কর্মশালা। এ সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে মানুষের অংশগ্রহণ আরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্জ্য সামগ্রী সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য আরআরআর সেন্টার স্থাপন করে বর্জ্য সামগ্রীর দায়িত্বশীল নিষ্কাশন ও পুনর্ব্যবহার প্রচারের দ্বারা রিডিউস, রিইয়ুজ, রিসাইকেল (আরআরআর) উদ্যোগকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে। পুনর্ব্যবহৃত সামগ্রী বিক্রির প্রতি উৎসাহ দেওয়ারও প্রচেষ্টা থাকবে, যা বৃত্তাকার অর্থনীতি ও বর্জ্য হ্রাসের লক্ষ্যে রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। এক ব্যাপক পদ্ধতি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছ খাদ্যোদ্যোগের প্রতি ও গুরুত্বারোপ করা হবে, রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনগুলিতে খাদ্য তৈরি ও বিতরণ করার ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখার ওপরও নজর রাখা হবে।

স্বচ্ছতা ২০২৪ প্রচারাভিযান সমস্ত নাগরিক, অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহ ও স্বচ্ছতাকে জীবনশৈলি হিসেবে গড়ে তুলতে সুযোগ প্রদান করবে। এই প্রচারাভিযানে সমস্ত যাত্রী, কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণ যাতে অংশগ্রহণ করেন তার ওপর জোর দেয় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে, যার মধ্যে ‘সম্পূর্ণ সমাজ দৃষ্টিকোণ’-এর সাথে জনগণকে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা হয়, যাতে ‘স্বচ্ছতা সকলের দায়িত্ব’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

You might also like!