মুম্বই, ১৫ জুন : আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। মৃতদের জন্য সামগ্রিভাবে কত কোটি টাকা বরাদ্দ হবে, শুরু হয়েছে সেই বিশ্লেষণ। অনুমান করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার জেরে জীবন বিমা বাবদ খরচ হতে পারে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। বিমা কাঠামো অনুযায়ী, প্রধান বিমা সংস্থা টাটা এআইজি মোট বিমার ৪০ শতাংশের দায়িত্বে রয়েছে। বাকি অংশে রয়েছে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিউরেন্স, আইসিআইসিআই লম্বার্ড, এবং অন্যান্য সরকারি বিমা সংস্থা।ক্ষতিপূরণের মধ্যে থাকবে বিমানের ক্ষতি, যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য ক্ষতি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মেডিক্যাল কলেজটি ইতিমধ্যেই পুনর্নির্মাণের ঘোষণা করেছে টাটা। পাশাপাশি ১৯৯৯ সালের মনট্রিয়াল কনভেশনের অধীনে বিমা বাবদ মৃতের পরিবারগুলিকে দিতে হবে আরও ১.৮ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে এই কনভেনশনে সাক্ষর করেছিল ভারত।
প্রসঙ্গত, ২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানী তো বটেই, এই দুর্ঘটনাকে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। অভিশপ্ত ওই বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় ও ৫৩ জন ব্রিটিশ, পর্তুগালের ৭ জন ও কানাডার এক নাগরিক। পাশাপাশি পাইলট ও বিমান সেবিকা মিলে ছিলেন ১২ জন। এদের মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে বিমান সংস্থা টাটা।